বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম কলেজের বন্ধ হোস্টেলে ছাত্রলীগের বসতি, অভিযান; রড ও লাঠি উদ্ধার

সোমবার, মে ১৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বহু দিন ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম কলেজের সোহরাওয়ার্দী ও শেরে বাংলা হোস্টেল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের দুই পক্ষের মারামারিতে বন্ধ করা হয়েছিল এ ছাত্রাবাস দুইটি। কিন্তু, আচমকা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে হলের বিভিন্ন দরজা ও জানালা ভেঙে অবৈধভাবে সেখানে ঢুকেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে সুভাষ মল্লিক সবুজ ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

ব্যাপারটি চট্টগ্রাম কলেজ কর্তৃপক্ষ জানলে রোববার (১২ মে) সকালে পুলিশের সহায়তায় দুই হোস্টেলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সেখান থেকে লোহার রড ও লাঠিসোটা উদ্ধার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অর্নব দেব বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে দীর্ঘ দিন ধরে অনৈতিকভাবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। বর্তমানে অনার্সে ভর্তি চলছে। প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী থেকে একটি খাম বিক্রি বাবদ ১০০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়া, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, এডমিট কার্ড নিতে হলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন সভাপতি-সম্পাদক। অথচ শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যেন কোন চাঁদাবাজি না করা হয়। এসব নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আমরা প্রতিবাদ করে আসছি। প্রতিবাদ করায় বিভিন্ন সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে। সেখানে আমরা উপস্থিত হতেই আমাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে এমন চাঁদাবাজি তারা দীর্ঘ দিন ধরেই করছেন। এমন ঘটনার প্রতিবাদে চকবাজার থানা ও কোর্টে আমরা মামলাও করেছি। ক্যাস্পাসে ভীতিকর পরিবেশ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করতে বন্ধ ছাত্রাবাসে অস্ত্র মওজুদ করছে। সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।’

চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির বলেন, ‘সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজির পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্য, টেম্পোস্টেশন ও টং দোকান থেকেও প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণে চাঁদাবাজি করছে। এমকি সাধারণ শিক্ষার্থীদেরও কোন ছাড় দিচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘এসব চাঁদাবাজি করে সভাপতি মাহাদুল করিম সাড়ে তিন কোটি টাকায় বিশাল বাড়ি বানিয়েছেন। তাদের দুইজন এতটাই বেপরোয়া যে, তাদের কাছে সকলে অসহায়। তারা কলেজে কীভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্য তিন টাকা মূল্যের খাম ১০০ টাকা আদায় করছে! তবে আমরা এর প্রতিবাদ জানাই। এ কারণে আমাদের সাথে বার বার সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে তারা দুই হলে অবৈধভাবে ঢুকে অস্ত্র মওজুদ করছে। সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।’

চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে দুই হোস্টেলে আমরা অভিযান চালিয়েছি। সেখান থেকে কিছু লাঠিসোটা উদ্ধার করেছি। এ সময় হলের ভেতরে কাউকে পাওয়া যায়নি।’