শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন/পলিথিনজাত দ্রব্যের বিক্রি ও মজুদ বন্ধ না হলে শিগগির ভ্রাম্যমাণ আদালত

রবিবার, মে ২১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। পলিথিন, শপিং ব্যাগ বা পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি সামগ্রীর বহুল ব্যবহারের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রাম সিটিতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। অপচনশীল পলিথিনের যত্রতত্র ব্যবহারের ফলে ভরাট হচ্ছে সিটির নালা-নর্দমা ও খাল-বিল। এতে করে দূষিত হচ্ছে পানি আর ভেঙ্গে পড়ছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পরিবেশ বাঁচাতে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং বিকল্প হিসেবে পাট, কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সব প্রকার পলিথিন ব্যাগ ও পলিইথাইলিনজাত দ্রব্য ব্যবহার, বাজারজাতকরণ, বিক্রয়, প্রদর্শন ও মজুদ বন্ধ করতে ব্যবসায়ীদেরকে আন্তরিক হতে হবে। অন্যথায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক শিগগির মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নেতৃত্বে আমরা সকলে মিলে দ্রততম সময়ে পলিথিনমুক্ত সিটি গড়তে চাই। চট্টগ্রাম জেলা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসান স্বাক্ষরিত ও প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

তিনি জানান, দূষণ ও পলিথিনমুক্ত সিটি গড়তে হলে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পরিবেশ বান্ধব পাটজাত ব্যাগ কাগজ ও কাপড়ের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে হবে। এসব বিষয়ে নির্দেশনা দিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, দপ্তর, সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের অবহিত করা হয়েছে।

রাকিব হাসান আরো জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (২০১০ সনের ৫০ নম্বর আইন সংশোধিত) এর ৬ক ধারা ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সামগ্রী উৎপাদন, বিক্রয় ইত্যাদিও উপর বিধিনিষেধ’ এর নির্দেশনা মোতাবেক কোন প্রকার পলিথিন, শপিং ব্যাগ, পলিইথাইলিন বা পলিপ্রপাইলিনের তৈরি সামগ্রী আমদানী, বাজারজাতকরণ, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন নিষিদ্ধ। ওই আইনের বিধান অনুযায়ী মহানগরীর সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বিপনী বিতানে পলিথিন বিক্রির জন্য প্রদর্শন, বিক্রয়, বিতরণ ও ব্যবহার না করার জন্য বলা হল। অন্যথায় বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (২০১০ সনের ৫০ নম্বর আইন সংশোধিত) এর ১৫ (১) এর ৪ এর ৬ (ক) ধারা মোতাবেক পলিথিন উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণের অপরাধে দুই বছর কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লখা টাকা অর্থদণ্ড এবং বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের ফলে অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।