রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

শনিবার, নভেম্বর ৫, ২০২২

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উদ্যোগে শনিবার (৫ নভেম্বর) সকালে আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম জেবু্ননেছা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস আক্তার, অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মনীষা মহাজন।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন ও চট্টগ্রামের বিজ্ঞ অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর উত্তম কুমার দত্ত।

চসিকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডিসি (দক্ষিণ জোন) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং এডিসি (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসানসহ মহানগরীর সব থানার ওসি।

চট্টগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার তানভীর ফরহাদ।

কনফারেন্সে আরো উপস্থিত ছিলেন পিবিআই, সিআইডি, ডিবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ, কারা প্রশাসন, নির্বাচন অফিস, পাসপোর্ট অফিস, স্বাস্থ্য ও ফরেনসিক মেডিসিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি।

কনফারেন্সের শুরুতে মো. রবিউল আলম গত সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরার পাশাপাশি বিচারকাজ ও মামলা নিষ্পত্তিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা ও এর কার্যকর সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। বিচারাধীন মামলাগুলোর সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দেন। তাছাড়া তিনি এনআইডি, পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত এভিডেভিট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন।

বেগম জেবুননেছা মামলার তদন্তে ও ফরেনসিক বিভাগে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তাছাড়া ফৌজদারী কার্যবিধির ৯৮, ১৪৫, ১৬৪ ধারা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারার প্রয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেন। সিএমএম কোর্টের মাত্র আটজন ম্যাজিস্ট্রেট গত ৯ মাসে ২৫ হাজার ২৪৯টি মামলা নিষ্পত্তি করায় তিনি সব ম্যাজিস্ট্রেটকে অভিনন্দন জানান।

কনফারেন্সে সব অংশীজনের প্রাণবন্ত ও খোলামেলা আলোচনা হয়। সব বক্তা তাদের বক্তব্যে দ্রুত সময়ে ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে একযোগে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রেস বার্তা