/ 
প্রিন্ট করুন
চট্টগ্রাম: গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহ প্রদান, চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গবেষণাকর্ম উপস্থাপনের লক্ষ্যে এবং ড. জামাল নজরুল ইসলামের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র এবং চিটাগাং ইউনিভার্সিটি রিসার্চ এন্ড হায়ার স্টাডি সোসাইটির (সিইউআরএইচএস) যৌথ উদ্যোগে ‘গবেষণা ও উদ্ভাবনে আগামীর চট্টগ্রাম’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রথম বারের মত অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘চট্টগ্রাম রিসার্চ ফেস্টিভ্যাল’ শীর্ষক গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রকাশনা মেলা।
এ উপলক্ষে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটায় চবির শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে আয়োজিত এ ফেস্টিভ্যাল উদ্বোধন করেন চবির উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও চবির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান। অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, গবেষক ও বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও গবেষণা মেলার সমন্বয়ক প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য দেন জামাল নজরুল ইসলাম গণিত ও ভৌত বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের সাবেক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর চৌধুরী ও গবেষণা মেলার সদস্য-সচিব চবি ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. অলক পাল। স্বাগত বক্তব্য দেন সিইউআরএইচএসের মডারেটর গবেষণা মেলার পরিচালক প্রফেসর ড. আদনান মান্নান এবং ড. জামাল নজরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করেন তার কন্যা সাদাফ সিদ্দিকী। এছাড়াও, গবেষণা মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য গবেষকরা বক্তব্য দেন।
উপাচার্য শিক্ষক-গবেষকদের জন্য চমৎকার অনুষ্ঠান আয়োজন করায় আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘জ্ঞান-গবেষণা ছাড়া পৃৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। এ জন্য শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব ডিসিপ্লিনে প্রচুর গবেষণা দরকার। দেশে গবেষণাকার্যক্রম উপস্থাপনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং এর প্রসারে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।’
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে এ ধরনের গবেষণা মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মর্মে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শিরিণ আখতার আরো বলেন, ‘প্রখ্যাত বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলামের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে গবেষকদের গবেষণাকর্ম উপস্থাপনের জন্য যে ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এতে গবেষকরা যেমন তাদের গবেষণাকর্ম উপস্থাপনের সুযোগ লাভ করছেন, অন্য দিকে, তরুণ শিক্ষক-গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যেও গবেষণা সম্পর্কে আগ্রহের সৃষ্টি হচ্ছে।’
এ ধরনের ফেস্টিভ্যাল নিয়মিত আয়োজন হলে গকেষকরা আরো উৎসাহে গবেষণাকর্মে আত্মনিয়োগ করবেন মর্মে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
