শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চবির উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চার দিনের কর্মবিরতি শিক্ষক সমিতির

রবিবার, ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চার দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল হক বলেন,‘উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে চলমান প্রশাসনের নানা অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ প্রদর্শনী চলতে থাকবে। পাশাপাশি, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এবং ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি (পরীক্ষা আওতামুক্ত থাকবে) ঘোষণা করছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থ বিবেচনা করে পরবর্তী অতিরিক্ত ক্লাস নেয়ার মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি কার্যকর উদ্যোগ নেবে।’

আবদুল হক বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বিভিন্ন অগ্রহণযোগ্য কার্যক্রমের কারণে সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানামুখী বির্তকের জন্ম দিয়ে আসছিলেন। তাদের নেতৃত্বাধীন এ প্রশাসন বিজয় দিবস উদযাপনের ব্যানারে শহীদ মিনারের ছবি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়েরিতে বঙ্গবন্ধু টানেলের নামে যুক্তরাষ্ট্রের টানেলের ছবি স্থাপন করে যেমনি অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, তেমনি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত অডিও কেলেঙ্কারীতে যুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে চরম লজ্জার মধ্যে নিপতিত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ব্যখ্যা চেয়েছে এবং জবাব সন্তোষজনক হয়নি উল্লেখ করে এসব অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন প্রমাণ করে বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষক সমিতির উত্থাপিত অনিয়মের অভিযোগ ও তার ধারাবাহিকতায় উপাচার্য ও উপ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি মোটেও অমূলক নয়। এ দুইজন পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচানোর জন্য শিক্ষক সমিতি সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।’

শিক্ষক সমিতির সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা পূর্বেও বলেছি, এখনও বলছি, ৭৩ এর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে সমুন্নত রাখার ও নিয়ম-বিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার কথা বলে আসছি। কিন্তু, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য আইনকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মত করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার চেষ্টা করছেন; যার কারণে আজকের এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য সবচেয়ে বড় বাধা।’