বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

চবির ফটকে তালা দিয়ে রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

শুক্রবার, আগস্ট ২৫, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আলাওল হলের দীর্ঘ দিনের বিভিন্ন সংকট নিরসনের দাবিতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ব্যানারে বিক্ষোভ করে ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগের একাংশ। বৃহস্পতিবার (২৪ আগসট) রাতে দুই ঘন্টা ধরে চলে তাদের বিক্ষোভ। এ সময় টায়ার জ্বালিয়ে পাশের সড়কটিতেও যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে, প্রক্টরের আশ্বাসে রাত সাড়ে নয়টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। বিক্ষোভ চলাকালে তারা প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগসহ শিক্ষার্থীরা নয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

সেগুলো হল হলের পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার করা, গোসলের জন্য নির্মিত হাউস (ছোট সুইমিংপুল) নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, ইন্টারনেটের সেবা নিশ্চিত করা, খেলাধুলার সরঞ্জাম নিশ্চিত করা, হলের চারপাশ পরিষ্কার রাখা, চলমান সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করা, হলের কর্মচারীদের কাজের তদারক করা ও কর্মচারীদের গাফিলতির জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া।

তবে, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে কর্মসূচি পালন করা হলেও বিক্ষোভে অংশ নেয়া নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার তিন অনুসারীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করার জেরে এই বিক্ষোভ হয়েছে বলে দাবি হলের প্রাধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষকের।

শিক্ষার্থীদের একটি দল বৃহস্পতিবার (২৫আগস্ট) সন্ধ্যা সাতটা থেকে বালতি, মগ ও বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে হলের ফটকের সামনে অবস্থান করে। আবার কিছু শিক্ষার্থী ফটকের বাইরের সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ‘প্রভোস্টের (প্রাধ্যক্ষ) পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলের সমস্যাগুলো দীর্ঘ দিনের। এ ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষকে একাধিক বার জানানো হলেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।’

তবে, আলাওল হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, ‘সমস্যা-সংকটের কথা বলা হলেও মূলত কয়েকজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার না করায় আন্দোলন করা হচ্ছে। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা এক সহকারী প্রক্টরকে মারধর করার চেষ্টা করেছিলেন।’

গেল ৯ জানুয়ারি ছাত্রলীগের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াছের নেতৃত্বাধীন বিজয় উপপক্ষের ১২ নেতা-কর্মীকে সংঘর্ষ, কক্ষ ভাঙচুর ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সহকারী প্রক্টরের দিকে তেড়ে আসার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে চবির ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে তিনিও বিক্ষোভে ছিলেন। এর সাথে বহিষ্কারের কোন সম্পর্ক নেই।’

রাতে প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘দুই ঘন্টা ধরে কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করছে। তাদের সাথে আলোচনার পর উপাচার্যকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে জানানো হয়েছে। শিগগিরই সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাসের পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’