হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে আটজন অধ্যাপক ও ছয়জন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীসহ ১৪ জনের প্রতিনিধি দল সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেছেন। প্রতিনিধি দলটি তাদের লাইফ সায়েন্স ও এগ্রিকালচার কলেজের ডিনের নেতৃত্বে চবির ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন ও তারা সবাই ন্যাচারাল রিসোর্স স্কুল ও বায়োলজিকাল সায়েন্স স্কুলের সদস্য।
তাদের এ সফরটি ইউএসএইড দ্বারা অর্থায়িত এবং ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের কম্পাস প্রোগ্রামের ফোকাস (ফরেস্ট এন্ড ক্লাইমেট সায়েন্স এক্সচেঞ্জ) প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের সদস্যরা চবির উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবির বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ ও বাংলাদেশ বন বিভাগের ডেপুটি চিফ কনজারভেটর জাগলুল হোসেনের সাথে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে চবির বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স রুমে মত বিনিময় সভা করেছেন। এ সময় কম্পাসের ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের লিড মো. শামস উদ্দিনের নেতৃত্বে কম্পাসের একটি প্রতিনিধি দল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চবির বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর মো. আকতার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ওই ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-গবেষক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বেনু কুমার দে ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হ্যাম্পশায়ারের প্রতিনিধি দলসহ উপস্থিত অতিথিদের চবির সবুজ-মনোরম ক্যাম্পাসে স্বাগত ও অভিবাদন জানান।
তিনি বলেন, ‘চবি ও ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হ্যাম্পশায়ারের মধ্যে শিক্ষা-গবেষণার যে সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিনিময়ের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা, গবেষণা দক্ষতা উন্নয়ন, মাঠ ভ্রমণ ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা এবং বৈচিত্র্যময় শিক্ষার পরিবেশ তৈরির সুযোগ অবারিত হয়েছে।’
বেনু কুমার দে দেশের শিক্ষক-গবেষকদেরকে ইকোসিস্টেম, জলাধার ও জীববৈচিত্র্য বিষয়ে গবেষণা করে দেশ-জাতির কল্যাণে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার আহবান জানান।
ইউনিভার্সিটি অফ নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে আসা দলের নেতা অ্যান্থনি ডেভিস, প্রতিনিধি দলের অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশের বিশেষ করে চবির প্রাকৃতিক বৈচিত্র ও সৌন্দর্য্যরে পাশাপাশি এদেশের অতিথি পরায়ণতার প্রশংসা করেন। তাদের এ সফরে তারা আগামী দিনের বহু নতুন গবেষণার অনুসঙ্গ খুঁজে পেয়েছেন জানিয়ে সবাইকে নিয়ে গবেষণার সুযোগ তৈরির উপর গুরুত্বারোপ করেন। পরে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা চবির ক্যাম্পাসে বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিভিন্ন উদ্যোগ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।