ঢাকা: দাম নিয়ন্ত্রণে ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আপাতত চার প্রতিষ্ঠানকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, যে চারটি কোম্পানিকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেগুলো হল মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘ঠিক কবে ডিম আমদানি হবে তা, চার প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। তবে, তাদেরকে বলা হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব ডিম আমদানি করতে হবে। যেহেতু ঋণপত্র খুলে আমদানি করতে হবে, সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে।’
তিনি জানান, কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে, সেটিও নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়নি। আমদানিকারক ঠিক করবেন কোন দেশ থেকে ডিম আমদানি করবেন। তবে, আমদানি করা ডিমের দাম কী হবে, তা ঠিক করে দেয়া হয়েছে।’
বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘বাজারে যেহেতু ডিমের খুচরা মূল্য ১২ টাকা করে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, তাই আমদানি করা ডিমও প্রতিটি ১২ টাকার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।’
ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে চারটি শর্ত দেয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হল এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। এছাড়া, নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করা যাবে না ও সরকারের অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে। এমন দুট শর্তের কথাও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, দেশে প্রতি দিন চার কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। ডিমের চাহিদার বিবেচনায় এক দিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য শুরুতে সেই সংখ্যক ডিম আমদানি করা হবে।’
বাণিজ্য সচিব আরো বলেন, ‘প্রয়োজন হলে আরো ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হবে। ডিমের বাজারে সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’