বিহার, ভারত: তরুণীর সাথে দীর্ঘ চার বছরের প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন যুবক। তবে, সেই তরুণীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন সদ্য শিক্ষক হওয়া ওই যুবক। এ কারণে তাকে বন্দুকের মুখে অপহরণ করে ওই তরুণীকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে। যুবকের নাম অবনীশ কুমার। তিনি সম্প্রতি শিক্ষক হওয়ার জন্য হার পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) নিজের কর্মস্থলে (স্কুল) যাচ্ছিলেন অবনীশ। পথে দুইটি স্করপিও গাড়ি তার রিকশার পথরোধ করে। সেখান থেকে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি বন্দুকের মুখে তাকে তুলে নিয়ে যান এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে মারধর করে গুঞ্জন নামের তার প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে দেয়। যদিও, অবনীশ গুঞ্জনের সঙ্গে তার প্রেমের কথা অস্বীকার করেছেন।
অবনীশ কুমার বিহারের বেগুরসরাই জেলার রাজৌরার বাসিন্দা সুধাকর রাইয়ের ছেলে। সম্প্রতি সরকারি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অবনীশ এবং কাটিহার জেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তার পোস্টিং হয়েছে।
গুঞ্জনের দাবি, অবনীশের সঙ্গে তার চার বছরের গভীর সম্পর্ক ছিল। তারা একাধিক বার দেখাও করেছেন। অবনীশ তখন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন।
গুঞ্জন বলেন, ‘সে (অবনীশ) আমাকে তার স্কুলেও নিয়ে গিয়েছিল। পরে আমি যখন আমার বাড়িতে তার কথা জানায় এবং তারা তাকে বিয়ের কথা বলে, তখন সে সম্পর্ক অস্বীকার করে। এটা কখনোই মেনে নেয়া যায় না।’
এরপরই অবনীশকে অপহরণ করা হয়। ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অবনীশকে বেশ কয়েকজন লোক ধরে রেখেছেন। আর বিয়ের শাড়ি ও সিঁদুর পরে তার কাছে দাঁড়িয়ে কনে গুঞ্জন।
বিয়ের পর গুঞ্জন তার পরিবারকে নিয়ে রাজৌরায় অবনীশের বাড়িতে গেলে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আর অবনীশের পরিবার গুঞ্জনকে তাদের পুত্রবধু হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। অবনীশও পালিয়ে যান।
গুঞ্জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন অবনীশ। তার ভাষ্য, ‘মেয়েটির সাথে আমার কোন ভালবাসার সম্পর্ক ছিল না। সে আমাকে বার বার ফোন করত ও পিছু নিয়ে হয়রানি করত। ঘটনার দিন আমি স্কুলে যাওয়ার সময় কিছু লোক আমাকে একটি গাড়িতে করে অপহরণ করে। তারা আমাকে মারধর করে ও সিঁদুর পরাতে বাধ্য করে।’
এরপর বিচারের আবেদন জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন গুঞ্জন। অবনীশও অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেছেন।