টোকিও, জাপান: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বৃহস্পতিবার (১ জুন) বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতিরক্ষা প্রধানদের মধ্যে বৈঠক প্রত্যাখান করার বেইজিংয়ের সিদ্ধান্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’, বিশেষকরে সাম্প্রতিক ‘উস্কানিমূলক’ চীনা আচরণের প্রেক্ষিতে।’ খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গোয়েন্দা বিমানের কাছে ‘অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসনমূলক রণকৌশল’ চালানোর জন্য ওয়াশিংটন বেইজিংকে অভিযুক্ত করার কয়েক দিন পর তিনি এমন মন্তব্য করলেন।
ওয়াশিংটন এ সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে একটি প্রতিরক্ষা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অস্টিনের সাথে আলোচনার জন্য চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শাংফুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
কিন্তু, চীন ওই বৈঠকে অংশ নিত অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ বিষয়ে এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানে, কেন বর্তমানে সামরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়েছে।’
সিঙ্গাপুরে যাওয়ার আগে সংক্ষিপ্ত সফরে টোকিওতে থাকা অস্টিন চীনের এমন সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন।
অস্টিন বলেন, ‘আপনি আমাকে অনেক বার বৃহৎ ও অনেক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোর গুরুত্বের বিষয়ে কথা বলতে শুনেছেন, একে অপরকে কথা বলতে সক্ষম হচ্ছেন; যাতে আপনি সংকট নিরসন করতে ও বিষয়গুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘চীন সম্প্রতি আমাদের বিমান ও মিত্রদের বিমানকে উস্কানিমূলকভাবে বাধা দেয়; যা খুবই উদ্বেগজনক ছিল।’
‘আমি এমন ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন; যেটি খুব দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার (৩১ মে) বলেছে, ‘চীনের যুদ্ধবিমানের এক পাইলট গেল সপ্তাহে দক্ষিণ চীন সাগরের উপর পরিচালিত আমেরিকার একটি গোয়েন্দা বিমানের কাছে ‘অপ্রয়োজনীয়ভাবে আগ্রাসনমূলক রণকৌশল চালায়।’
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রকাশ করা ভিডিও ফুটেজে চীনের একটি যুদ্ধবিমানকে আমেরিকার বিমানের একেবারে সামনে দিয়ে পার হতে দেখা যাচ্ছে।
তবে, চীনের সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘মার্কিন বিমানটি সেখানে সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকার রীতি ‘ভঙ্গ করে’।’
তারা আরো বলেছে, ‘চীনের ওপর নিবিড় নজদারি চালানোর জন্য কোন জাহাজ ও বিমান পাঠানো চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’