ঢাকা: ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছিল পাঁচটি চলচ্চিত্র। এগুলো হল ‘প্রিয়তমা’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রহেলিকা’, ‘লাল শাড়ি’ ও ‘ক্যাসিনো’। চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে হিমেল আশরাফ পরিচালিত শাকিব খান ও ইধিকা পাল জুটির ‘প্রিয়তমা’ ও রায়হান রাফি পরিচালিত আফরান নিশো ও তমা মির্জা জুটির ‘সুড়ঙ্গ’ তুমুল ব্যবসায় করেছে। অন্য, ছবিগুলোও ভাল দর্শক পেয়েছে। এরপর কেটে গেছে ছয়টি সপ্তাহ। নতুন কোন চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি। সেই বিরতি কাটিয়ে নতুন শুক্রবার (১১ আগস্ট) দুটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে।
এর একটি হল নন্দিত অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক সোহেল রানার পুত্র মাশরুর পারভেজের ‘গোয়িং হোম’। অন্যটি হল সরকারি অনুদানে নির্মিত এফএম শাহীন পরিচালিত ‘মাইক’। সম্পূর্ণ ভিন্ন মেজাজের দুটি চলচ্চিত্র দেখার সুযোগ পাবেন দর্শক।
‘গোয়িং হোম’ নিয়ে মাশরুর পারভেজ বলেন, ‘একে ‘রাইয়ান’ এর শেষ অংশও বলা যেতে পারে। চলচ্চিত্রের অনেকটা জুড়েই আমার জীবনের কাহিনি। আমার জীবনের কষ্টটা চলচ্চিত্রে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আসলে, এটা এক যুবকের গল্প। সে তার বাবাকে হারিয়ে ফেলেছে। তাকে খোঁজার গল্প। এর বাইরে ভিন্ন একটা গল্প আছে, সেটা দর্শক হলে গিয়ে জানতে পারবে। এখানে আমিসহ যারা অভিনয় করেছেন, তারা সবাই প্রায় নতুন। আর বাবাকে (সোহেল রানা) অনেক চরিত্রে দেখা যাবে। এটা দর্শকের জন্য চমক।’
‘অনেক টেনশনে আছি। চলচ্চিত্রটি ৯০ মিনিটের। তারকাশিল্পী নেই, সে রকম কোন গান নেই। জানি না দর্শক কীভাবে নেবে। তবে, প্রিমিয়ার শো শেষে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। এরপর থেকে সাহস পাচ্ছি।’ যোগ করেন নির্মাতা।
‘গোয়িং হোম’ সিনেমাটি এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছে। এবার দেশের হলে দেখা যাবে। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাশরুর। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন এক ঝাঁক নতুন অভিনয়শিল্পী। অভিনয় করেছেন নুসরাত জাহান জেরি, ফাহিম ফারুকসহ অনেকে।
এ দিকে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’। পুরো দেশের নয়টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। এটি চলবে স্টার সিনেপ্লেক্স-বসুন্ধরা, ব্লকবাস্টার সিনেমা-যমুনা ফিউচার পার্ক, সিলভার স্ক্রিন-চট্টগ্রাম, লায়ন সিনেমা-কেরানীগঞ্জ, ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড-উত্তরা দিয়াবাড়ি, আজাদ-পুরান ঢাকা, রুটস সিনে ক্লাব-সিরাজগঞ্জ, আনন্দ সিনেপ্লেক্স-নাটোর, গ্রান্ড সিলেট মুভি থিয়েটার-সিলেট।
সরকারি অনুদানে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটির প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাতা, অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীরাা। ‘মাইক’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ, তানভীন সুইটি, তারিক আনাম খান, নাদের চৌধুরী, ঝুনা চৌধুরী, জয়িতা মহলানবিশ, সংগীতা চৌধুরী, রহিম সুমন, ইকবাল হোসাইন, শিশুশিল্পী সানজিদ রহমান খান, আলী আবদুল্লাহ দাইয়ান ভূঁইয়া, খোন্দকার মেঘদূত জলিল, মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিত প্রমুখ।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে নায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ওপর দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। যে সময়ের প্রেক্ষাপটে (পঁচাত্তর পরবর্তী) চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে, যেটি ছিল নিষিদ্ধ সময়। আমাদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানত-ই না যে বঙ্গবন্ধু নামে কেউ আছেন। মাঝেমধ্যে বাবার মুখে শুনতাম শেখ সাহেব এটা করেছে, ওটা করেছে। বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস ও তার বিশ্ব কাঁপানো ভাষণের ঐতিহাসিক গল্প জানা যাবে এই চলচ্চিত্র দিয়ে। আমি চাইব, সবাই পরিবার নিয়ে একসাথে হলে গিয়ে ‘মাইক’ দেখবেন।’
‘মাইক’ চলচ্চিত্রের গল্পকার, প্রযোজক ও পরিচালক এফএম শাহীন বলেন, ‘মাইক’ চলচ্চিত্র নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ নতুন মাত্রায় পৌঁছে দেবে।
তিনি জানান, দেশের কিছু সিনেপ্লেক্সে চলবে ছবিটি।