গোপালগঞ্জ: জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সারের কারণে বছরে প্রায় ১২ হাজার নারী মারা যান। এর মধ্যে জরায়ু-মুখ ক্যান্সারে মারা যায় সাত হাজার ও স্তন ক্যান্সারে মারা যায় পাঁচ হাজার। এ দুটি ক্যান্সারে বছরে আক্রান্ত হয় প্রায় ২১ হাজার। শনিবার (২২ জুলাই) গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সভা কক্ষে জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং উন্নয়ন বিষয়ক সমন্বয় সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এ কথা তথ্য জানান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি আরো বলেন, ‘এর মধ্যে ১৩ হাজার মহিলা আক্রান্ত হয় জরায়ু ক্যান্সারে ও আট হাজার আক্রান্ত হয় স্তন ক্যান্সারে। তাই, স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু মুখ ক্যান্সার নিয়ে কোন লজ্জা নয়। এ বিষয়ে বড় ধরনের জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। এ দুই ক্যান্সার সম্পর্কে আগেভাগে জানতে ভায়া ও সিবিইসহ যত ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা রয়েছে, তা মানুষকে জানাতে হবে।’
মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কোন মা বোনের স্তনে চাকার মত সমস্যা দেখা দিলে কোন দেরি না করে সাথে সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবা নিতে হবে। ব্রেস্ট ক্লিনিকের কার্যক্রম সম্পর্কে মানুষকে বিস্তারিত জানাতে হবে। জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিংসহ চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমে মুখ্য ভূমিকা রাখছে। এ কার্যক্রম আরো জোরদার ও সম্প্রসারিত করতে ইনস্টিটিউট অফ ফিমেল ক্যান্সার প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও উল্লেখ করেন উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাক্তার মো. জাকির হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) একেএম নূরুন্নবী কবির, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যুগ্মসচিব (পরিকল্পনা) মো. আব্দুস সালাম খান, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের সার্জারী বিভাগের প্রধান ডাক্তার অনুপ কুমার মজুমদার, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডাক্তার মো. তোফাজ্জেল হোসেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে গোপালগঞ্জ জেলার প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম, পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।