বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জর্জ ফ্লয়েড হত্যা/আরো এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার জেল

রবিবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২২

প্রিন্ট করুন

হেনেপিন, মিনেসোটা, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রে আলোচিত কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকাণ্ডে সহায়তার অভিযোগে আরো সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) জে আলেকজান্ডার কুয়েং নামে ওই সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে হেনেপিন কাউন্টির জেলা আদালতে এ দণ্ডাদেশ দেন বিচারক। আলেকজান্ডার কুয়েং ওহিও ফেডারেল জেল থেকে অনলাইনের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দ্বিতীয়-ডিগ্রি হত্যার সহায়তা ও মদদ দেয়ার অভিযোগে গত অক্টোবরে আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। এ ছাড়া ফ্লয়েডের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তিন বছরের ফেডারেল সাজা ভোগ করছেন আলেকজান্ডার কুয়েং। খবর আলজাজিরার।
 
মিনেসোটা অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের আইনজীবী ম্যাথিউ ফ্র্যাঙ্ক বলেছেন, ‘জর্জ ফ্লয়েডকে যখন ডেরেক শভিন ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন, ওই সময় আলেকজান্ডার কুয়েং জর্জ ফ্লয়েডের পিঠে হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন।’

ফ্লয়েডের পরিবারের আইনজীবী বেন ক্রাম্প জানান, কুয়েংয়ের সাজা ফ্লয়েডের পরিবারকে আরো একটি ন্যায়বিচার দিয়েছে।
 
গত ফেব্রুয়ারিতে মাসে কুয়েং ও তার অপর দুই সহকর্মী পুলিশ কর্মকর্তা টউ থাও এবং থমাস লেনকে ফেডারেল আদালতে ফ্লয়েডের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন ও তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। তাদের আড়াই থেকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের জুনে ফ্লয়েডের নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন ও হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেতাঙ্গ সাবেক একজন পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
 
২০২০ সালের ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে জর্জ ফ্লয়েড নামে ৪৬ বছর বয়সী একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান অবৈধ মুদ্রা রাখার দায়ে গ্রেফতার হওয়ার সময় নিহত হন। গ্রেফতারের সময় হাতকড়া পরিয়ে শোয়ানো অবস্থায় মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের ডেরেক শভিন নামের ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ঘাড়ে প্রায় নয় মিনিট ৩০ সেকেন্ড হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন। এ সময় জে অ্যালেক্সান্ডার কুয়েং ও থমাস লেইন নামে দুইজন পুলিশ অফিসার শভিনকে সহায়তা করেন। টউ থাও নামের অন্য একজন পুলিশ অফিসার উপস্থিত জনতাকে নিরস্ত্র করেন। জর্জ ফ্লয়েডের গ্রেফতার, মৃত্যু ও পুলিশের ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার্স’ শীর্ষক বিক্ষোভের শুরু হয়।