/ 
প্রিন্ট করুন
ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: ‘জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিণামে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকায় তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দেয়ার আশঙ্কা বেড়েছে প্রায় ৩৫ গুণ।’ বলছেন বিজ্ঞানীরা। সংবাদ বিবিসির।
পৃথিবীর জলবায়ু বিজ্ঞানীদের গবেষণা সংগঠন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন’ (ডব্লিউডিব্লউএ) মে মাস ও জুনের শুরুর দিককার বাড়তি তাপমাত্রা নিয়ে গবেষণা করেছেন। ওই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে তাপপ্রবাহ ছিল দক্ষিণের-পশ্চিমের রাজ্যগুলোতে, যার মধ্যে আছে ক্যালিফোর্নিয়া, নেভাডা ও অ্যারিজোনা। একই সময়ে মেক্সিকোতে চরম তাপমাত্রায় মানুষের মৃত্যুও হয়েছে।
‘ডব্লিউডব্লিউএ’-এর গবেষকরা মে ও জুনে উত্তর ও মধ্য আমেরিকাজুড়ে পাঁচ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করেন।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, জলবায়ু সংকটের কারণে পাঁচ দিনের তাপপ্রবাহে প্রায় এক দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা ছিল। আর প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় এমন চরম তাপমাত্রা দেখা দেয়া আশঙ্কাও ৩৫ গুণ বেশি দেখা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘তাপপ্রবাহসহ চরম আবহাওয়াজনিত বহু দুর্যোগই এখন প্রায়ই ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘন ঘনই এমন হচ্ছে।’
নয়া গবেষণা প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ‘চরম তাপপ্রবাহ দেখা দেয়ার আশঙ্কা এখন সেই ২০০০ সালের চেয়ে চার গুণ বেশি।’
ডব্লিউডব্লিউএ তাদের গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও মেক্সিকোসহ গুয়াতেমালা, বেলিজ, এল সালভাদর ও হন্ডুরাসের তাপমাত্রাও পর্যবেক্ষণ করেছে। এসব জায়গাতেও বিপজ্জনক মাত্রার উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে।
রয়েল নেদারল্যান্ডস আবহাওয়া ইনস্টিটিউটের গবেষক ইজিদিন পিন্টো বলেন, ‘আমাদের জলবায়ু যে বিপজ্জনক মাত্রায় উত্তপ্ত হচ্ছে, তার আরেকটি সতর্কবার্তা হিসেবেই আমাদের এ গবেষণার ফলকে বিবেচনায় নেয়া উচিত।’
