ঢাকা: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রযোজকদের কাছ থেকে আগামী বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদন পত্র নেয়া হবে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ প্রদানের লক্ষ্যে দরখাস্ত আহবান করে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রযোজকদেরকে নির্ধারিত ছকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের ফরম/ছক বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। আবেদনের ফরম সেন্সর বোর্ডের ওয়েবসাইট www.bfcb.gov.bd থেকে ডাউনলোড করেও ব্যবহার করা যাবে। সব আবেদন পত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট চলচ্চিত্রের কপি ডিভিডি/পেনড্রাইভে জমা দিতে হবে।
পুরস্কারের জন্য প্রস্তাবিত শিল্পী/কলাকুশলী/ব্যক্তিদের তিন কপি পিপি (পাসপোর্ট) সাইজ ছবিসহ জীবন-বৃত্তান্ত (বাংলা), জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি/পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)/শিশুশিল্পীদের ক্ষেত্রে জন্ম নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের মত এবারো ২৮টি ক্ষেত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়া হবে। এগুলো হল- আজীবন সম্মাননা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা প্রধান চরিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী প্রধান চরিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পার্শ্ব চরিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী খল চরিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী কৌতুক চরিত্র, শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী, শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক, শ্রেষ্ঠ গায়ক, শ্রেষ্ঠ গায়িকা, শ্রেষ্ঠ গীতিকার, শ্রেষ্ঠ সুরকার, শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার, শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সংক্রান্ত নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘কেবল বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে। যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে, তবে যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্রের বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীরা পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিবেচনাযোগ্য চলচ্চিত্রকে অবশ্যই বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত ও বিবেচ্য বছরে (২০২১ সালে) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত হতে হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কোন বাধ্যবাধকতা নেই, তবে সেগুলোকে বিবেচ্য বছরে (২০২১ সালে) সেন্সর সনদপত্রপ্রাপ্ত হতে হবে।