জাপানে প্রাণবন্তভাবে উদযাপিত হলো পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবি। এই অনুষ্ঠানটি রঙিন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় রূপ নেয় এক আনন্দঘন মিলনমেলায়। যেখানে অংশগ্রহণ করেন জাপানে বসবাসরত পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা প্রভৃতি পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ। এছাড়া, জাপানি, আমেরিকান, নেপালি ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন দেশের অতিথিরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
গত রোববার (১৩ এপ্রিল) জাপানের তোচিগি ডিসট্রিক ওহিরা সিটির ইউইউ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয় এ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে ছিল বৈচিত্র্যময় নানা আয়োজন- নৃত্য, গান, ঐতিহ্যবাহী উবোগিত পরিবেশনা, ফ্যাশন শো এবং শিশুদের নৃত্য পরিবেশনা। ছোট ছোট শিশুদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ পুরো অনুষ্ঠানকে করে তোলে আরও আকর্ষণীয় ও হৃদয়গ্রাহী। অনুষ্ঠানে রকমারী তরকারিসহ বিভিন্ন পাহাড়ী পিঠা সহ মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন সলিলা তঞ্চঙ্গ্যা, জেসমিন চাকমা, অমরজিতা চাকমা, সমাপ্তী চাকমা, প্রীয়াসি ত্রিপুরা, গীতা চাকমাসহ আরও অনেকে। শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এই আয়োজনে।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন প্রভাত কুসুম চাকমা, অতুল চাকমা ও প্রীতিময় চাকমা। উপস্থাপনায় ছিলেন প্রীতিময় চাকমা ও মন্টি চাকমা।
আলোচনা পর্বে বক্তব্য দেন দিপ্তী শংকর চাকমা, টম, কাই-চিগা, ইয়াসুয়ো সুজুকি, স্বর্ণিকা চাকমা, খুকি চাকমা, পিপুল চাকমা, রেবত চাকমা, জ্ঞান শংকর চাকমা প্রমুখ।
সমাপনী বক্তব্যে প্রভাত কুসুম চাকমা অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক নতুন স্বপ্ন, নতুন সম্ভাবনা ও অফুরন্ত আনন্দ। এই মিলনমেলা হোক বৈচিত্র্যে ভরপুর এক বাংলাদেশি সংস্কৃতির বাহক।’