নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের ভবন কেনাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সংকট নিরসনের লক্ষ্যে বৃহত্তর সিলেটের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বর্তমান ও সাবেক কার্যকরী কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে গেল ১৫ মে রাতে যুক্তরাষ্ট্র্রের নিউইয়র্কে এস্টোরিয়াস্হ হেলো বংলাদেশ রেষ্টুরেন্টে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট সদর সমিতির সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী ও শ্রীমঙ্গল এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশীদ শিপুর যৌথ আহবানে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ শওকত আলী।
সভার শুরুতে গেল সভার কার্যবিবরণী পড়ে শুনানো হয়। বৃহত্তর সিলেটের ২০টি আঞ্চলিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সভাপতিসহ কার্যকরী কমিটির সদস্য ও ট্রাস্টিদের আমন্ত্রণ জানানো সত্বেও তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন না। সভায় নেতৃবৃন্দ জালালাবাদ ভবন ক্রয় সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ নেন ও নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম ভবনের ইন্সপেকশন রিপোর্ট এবং এপ্রাইজাল রিনোভেশনের ডকুমেন্ট উপস্থাপন করে তথ্যের ভিত্তিতে সকলকে বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের বিবেচনায় ব্যাপারটি ভুল হতে পারে।’ এ ক্ষেত্রে যেসব ভুল-ত্রুুটি হয়েছে, তা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করে তিনি অনুতপ্ত হন।
সইনুল ইসলাম জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবেছেন বলে জানান।
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বরখাস্ত করাকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ বলে সভায় সকলে অভিমত ব্যক্ত করেন। এসোসিয়েশনের আগামী ১১ জুনের সাধারণ সভার নোটিশে শুধুমাত্র আজীবন সদস্য ও ২০২১ সালে নবায়নকৃত সদস্যরা সভায় যোগ দিতে পারবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সভায় ঐক্যের বৃহত্তর স্বার্থে সদস্য/সদস্যাসহ সব জালালাবাদবাসীর উপস্থিত নিশ্চিত করা ও সাধারণ সম্পাদকের বরখাস্ত প্রত্যাহার এবং সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদকের আজীবন সদস্য পদ বাতিলকে পুনর্বহাল করে নুতন করে সাধারণ সভার তারিখ নির্ধারণ করার জন্য জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটিকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহত্তর সিলেটবাসীর প্রাণের সংঘঠন ৩৮ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ সংগঠনের একটি ভবন কেনাকে কেন্দ্র করে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে, তা নিরসনের জন্য জালালাবাদ এসোসিয়েশনের বৃহত্তর স্বার্থে দ্রুত কার্যকরী কমিটি ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের প্রতি ফের জোর দাবি জানানো হয়।
সভায় একটি লিয়াজো কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি জালালাবাদ এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি ও ট্রাস্টি সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সিলেট সদর থানা এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের সভাপতি আব্দুল মালিক খান লায়েক, সিলেট সমিতির সভাপতি দেওয়ান শাহেদ চৌধুরী, মৌলভী বাজার জেলা সমিতির সভাপতি আজমল খান, মৌলভীবাজার ডিস্ট্রিক্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, সদস্য মো. আবুল খায়ের, যুক্তরাষ্ট্র হবিগন্জ সদর সমিতির সভাপতি সভাপতি মিয়া মো. আসকির, হবিগঞ্জ সোসাইটির উপদেষ্টা সৈয়দ ফজলুর রহমান, বিয়ানীবাজার সমিতির উপদেষ্টা মো. শফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশীদ শিপু, কুলাউড়া এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহ আলাউদ্দীন, ওসমানিনগর এসোসিয়শনের সভাপতি আজিজ আহমদ ছালিক ও সাধারণ সম্পাদক ফকরুল চৌধুরী মিসলু, রাজনগর উপজেলা উন্নয়ন পরিষদ ইউএসএ ইনকের সভাপতি মাসুক মিয়া, উপদেষ্টা শাহ রকিব আলী, রাজনগর উপজেলা পরিষদ ইউএসএ ইনকের সভাপতি হেলালুর রহমন খান, নবীগঞ্জ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি শাহ জামাল হোসেইন ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলি টিপু, বিশ্বনাথ প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি শিহাব উদ্দিন আহমদ, বড়লেখা সমিতির সভাপতি আব্দুল জব্বার, জুড়ি সমিতির আব্দুল করিম, জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, সহ সভাপতি শাহীন কামালি (সুনামগঞ্জ), সদস্য হেলিম উদ্দিন (সিলেট), সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদ গণি, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ইমাদ চৌধুরী, ইয়ামিন চৌধুরী, ব্যাংকার আজাদ উদ্দীন, মনসুর চৌধুরী, মইনুজ্জামান চৌধুরী, মখন মিয়া, জয়নাল উদ্দিন লায়েক, মোজাফফর আহমদ, এনায়েত হোসেন জালাল, আল আমিন জিলা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উপস্থিত সবাই একমত প্রকাশ করে বলেন যে, ‘জালালাবাদ এসোসিয়েশনের মান মর্যাদা রক্ষার জন্য আমরা সব সময় এক থাকব, আমাদের মধ্যে কোন দ্বিমত থাকবে না।’
এ সংকট নিরসনের জন্য বৃহত্তর সিলেটের নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ সব সামাজিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে বড় পরিসরে সভার আয়োজন করার পক্ষে অনেকে মত প্রকাশ করেন।