মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

জি-২০ সম্মেলনে যাবেন না বলে জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ‘তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন না।’

দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বিতর্কিত জমি অধিগ্রহণ আইন নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রেক্ষিতে এই ঘোষণা দিলেন তিনি।

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার একটি আইন পাস করেছে, যে আইনে বিশেষ কিছু পরিস্থিতিতে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই জমি অধিগ্রহণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই আইনের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফ্রিকার দেশটিকে সাহায্য বন্ধ করার হুমকি দিয়েছেন।

এরপর মার্কো রুবিওর পক্ষ থেকে জি-২০ সম্মেলন বয়কটের ঘোষণা এলো। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত জি-২০-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি দেশটির জোহানেসবার্গে জি-২০ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

সম্মেলন সামনে রেখে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মার্কো রুবিও বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা খুব খারাপ কাজ করছে। ব্যক্তিগত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করছে। জি-২০ ব্যবহার করে সংহতি, সমতা ও টেকসই উন্নয়নের কথা প্রচার করছে। অন্য কথায়: ডিইআই ও জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাজ হল আমেরিকার জাতীয় স্বার্থ এগিয়ে নেয়া; করদাতাদের টাকা নষ্ট করা নয় বা আমেরিকাবিরোধী মনোভাব প্রশ্রয় দেয়া নয়।’

রুবিওর এই ঘোষণা সরকার বিরোধীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে।

সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে হোয়াইট হাউসের সিনিয়র ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী অ্যান্ড্রু বেটস এক এক্স পোস্টে বলেছেন, ‘এমন দুর্বলতা প্রদর্শন আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং চীনকে উপকৃত করবে। আপনি যদি টেবিলে না থাকেন, তাহলে আপনি মেনুতে থাকবেন।’

জি-২০-তে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৯টি দেশ রয়েছে।

জি-২০ সদস্যদের মধ্যে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত, যারা বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৮৫ শতাংশ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশেরও বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে।