শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জেএমসেন হলে স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরির আবির্ভাব উৎসব অনুষ্ঠিত

শুক্রবার, জানুয়ারী ১৩, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটির জেএমসেন হলে যোগাচার্য পরমহংস শ্রীশ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৪তম আবির্ভাব উৎসব উপলক্ষে দিনব্যাপী অখণ্ড গীতাপাঠের ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ মনোহারিত্ব অনুষ্ঠানমালাসহ বিশ্ব শান্তি শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞ ও সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শঙ্কর মঠ ও মিশন চট্টগ্রাম মহানগর শাখা কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচির মধ্যে ছিল- গুরু পূজা, মঙ্গলারতি, বিশ্ব শান্তি শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞ, হরি ওঁ কীর্ত্তন, শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠ, গৈরিক ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অখণ্ড প্রদীপ প্রজ¦লন, দীক্ষাদান, সমাজসেবা কার্যক্রম, সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলন, সম্মাননা স্মারক প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দুপুর ও রাতে প্রসাদ বিতরণ।

সকাল সাড়ে দশটায় বেলুন উড্ডয়ন ও শান্তির কপোত অবমুক্তকরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সীতাকুণ্ড শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীশ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। এর পর বিশ্ব শান্তি শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন তিনি। শ্রীমৎ জগদীশ্বরানন্দ ব্রহ্মচারী শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন।

শঙ্কর মঠ ও মিশন চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি অদুল কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন সন্তোষ কুমার নন্দীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলনের উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ শ্রীশ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতি ছিলেন চট্টগ্রাম রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী শক্তিনাথানন্দ মহারাজ। অতিথি ছিলেন ভারতের হরিদ্বারের গুরুধামের অধ্যক্ষ আচার্য শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিষানন্দ পুরী মহারাজ। ধর্মীয় মুখ্য আলোচক ছিলেন ধর্মতত্তবিদ অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, প্রফেসর তাপসী ঘোষ রায়, প্রফেসর সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রফেসর বিজয় লক্ষী দেবী, প্রফেসর কুশল বরণ চক্রবর্তী ও শ্রীমৎ স্বামী সজলানন্দ গিরি মহারাজ।

শঙ্কর মঠের কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুলাল কান্তি চৌধুরী, অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, সমীর কান্তি পাল, প্রকৌশলী সুবল চন্দ্র শীল, সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, মাস্টার অজিত কুমার শীল, প্রদীপ মহাজন জহর, অজিত কুমার শীল, দিলীপ কুমার শীল, মিশন দত্ত সপু।

সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্বজনীন ধর্মগ্রন্থ শ্রীশ্রীমদ্ভগবত গীতার কর্ম, জ্ঞান ও ভক্তি মানুষকে বিভিন্ন অপকর্ম থেকে বিরত রাখে। ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ মানুষকে সত্য সনাতন সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূরীভূত হয়। এখানে মঠ-মন্দির শুধু ধর্ম চর্চার সাধনা করে না। মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি ও সভ্যতাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। ধর্মবোধ মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। নিষ্কাম কর্ম ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উত্তরণের জন্য মনুষ্যত্বেও সাধনা করাই হলো গীতা শিক্ষা।’

বক্তারা আরো বলেন, ‘আধ্যাত্বিক জীবন চর্চার মহাতীর্থপীঠ শঙ্কর মঠ ও মিশন। এ মঠে বসে সুদীর্ঘ ৮০ বছর বসে শ্রীমদ্ভগবত গীতা প্রচারের মাধমে অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে নিরলস সাধনা করেছেনযোগাচার্য পরমহংস শ্রীশ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ। তিনি ছিলেন একজন পরম পুরুষ। তাই, গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে।’