সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জোর করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়ার জন্য বিএনপি বিদেশি ঘটক নিয়োগ করেছে

শনিবার, জুলাই ৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিয়ের পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের জন্য যেমন ঘটকের দারস্থ হতে হয়, ঠিক সেভাবে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বিদেশি ঘটকের আশ্রয় নিয়েছে। কারণ, প্রকৃত ভোটযুদ্ধে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। তাই, জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার আশংকাায় বিএনপি চাইছে, তাদেরকে ক্ষমতাধর বিদেশী মুরব্বী ক্ষমতায় বসিয়ে দিক। এ স্বপ্ন অসম্ভব ও অবাস্তব।’

শনিবার (৮ জুলাই) সকালে সিটির লালখান বাজারে চট্টগ্রাম-দশ নির্বাচনী আসনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন দশটি ওয়ার্ড ও ইউনিট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি নির্বাচনমুখী দল। নির্বাচনে জনগণের রায় নিয়ে বার বার ক্ষমতায় এসেছে। কোন আন্দোলনের ফলে আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতাচ্যুত হয়নি। অথচ, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল প্রাসাদ চক্রান্তের মাধ্যমে; যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।’

তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবিধান সম্মতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আন্দোলনের নামে এ নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য যে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার হয়েছে, তা ছিন্ন করাটাই হল দলীয় নেতা-কর্মীদের মূল দায়িত্ব।’

নেতা-কর্মীদেরকে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনা ও আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য এখন থেকেই কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেন মোশাররফ।

সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম-দশ আসনের উপ-নির্বাচনে উপযুক্ত প্রার্থীকেই মনোনয়ন দিয়েছেন। উপযুক্ত বেশ কয়েকজন নেতা মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে, প্রধানমন্ত্রী যাকেই মনোনয়ন দিয়েছেন, তাকে বিজয়ী করাটাই নেতা-কর্মীদের প্রধান কর্তব্য।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘চট্টগ্রাম- দশ আসনের উপনির্বাচন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে একটি ড্রেস রিহার্সেল। এ রিহার্সেলে জানান দিতে হবে, আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। তাই, এখন থেকে ঘরে ঘরে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সরকার দেশ ও জাতির নজিরবিহীন উন্নয়ন, সাফল্য ও অর্জনের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ‘প্রান্তিক স্তরে যেসব মানুষ সরকারের উপকারভোগী রয়েছেন, তাদেরকে দলে টানতে পারলে আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত এবং তারাই আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস। তাদের প্রতি শতভাগ ভরসা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগের আছে।’

চট্টগ্রাম- দশ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘এ আসনের তিন বারের নির্বাচিত সাংসদ ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদ্যপ্রয়াত সহ-সভাপতি আফছারুল আমীন একজন জননন্দিত নেতা ছিলেন। জনগণের জন্য দায়বদ্ধতা থেকে এলাকার উন্নয়ন ও কল্যাণ সাধনে নিবেদিত ছিলেন। আমি আল্লাহর রহমতে নির্বাচিত হলে আফছারুল আমীনের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে সচেষ্ট থাকব।’

চট্টগ্রাম-দশ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও চট্টগ্রাম-দশ নির্বাচনী আসনের প্রচার ও দপ্তর বিভাগের সমন্বয়ক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলার সহ সভাপতি এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা বদিউল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দেবাশীষ পালিত, জসীম উদ্দীন শাহ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মসিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, মো. হোসেন, মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুল হক, বখতেয়ার উদ্দীন খান, কামরুল হাসান বুলু, গোলাম মো. চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী, সাবেক যুবলীগ নেতা সৈয়দ মাহমুদুল হক, থানা আওয়ামী লীগের ফয়েজ আহমদ, মো. হোসেন হিরু, মোমিনুল হক, আসলাম হোসেন, আবু তাহের, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিদ্দিক আহমদ, দিদারুল আলম মাসুম, আতিকুর রহমান, মো. ইসমাইল, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, আসলাম সওদাগর, আব্দুল্লাহ আল ইব্রাহিম, আবুল কাশেম, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, সাবের আহমদ, দিলদার খান দিলু, মো. রিজওয়ান এরশাদ উল্লাহ, আব্দুর সবুর লিটন।