রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

জ্যাকসন হাইটসে ‘জেনোসাইড ৭১ ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র’র র‌্যালি, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, সেমিনার ও সভা

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক সিটি, যুক্তরাষ্ট্র: নিউইয়র্ক সিটিতে ‘জেনোসাইড ৭১ ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র’র উদ্যোগে গেল ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক জেনোসাইড ও প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় র‌্যালি ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। আর ‘আন্তর্জাতিক জেনোসাইড দিবসের তাৎপর্য ও একাত্তরে বাংলাদেশের জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা করা হয় মামুন’স টিউটোরিয়ালে।

অনুষ্ঠানে কী নোট স্পিকার ছিলেন সংগঠনের সভাপতি প্রদীপ রঞ্জন কর। প্রধান অতিথি ছিলেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের প্রেস সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন এম ফজলুর রহমান, নিনি ওয়াহেদ, সুব্রত বিশ্বাস, সাগর লোহানী, ওবায়েদ উল্লাহ মামুন, ক্লারা রোজারিও, হুসনে আরা, মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকী, শাহ মো. বখতিয়ার আলী, এমএ করিম জাহাঙ্গীর, আক্তার হোসেন, হেলাল মাহমুদ, জালাল উদ্দিন জলিল, জাকির হোসেন বাচ্চু, রুমানা আখতার, শহিদুল ইসলাম।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা, চার লাখের বেশি নারীর সম্ভ্রমহানীর ঘটনা পৃথিবীর অন্যতম বড় গণহত্যাযজ্ঞের একটি। অথচ এখনো পর্যন্ত তা জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়নি। একাত্তরে পাক হায়নাদের সেই নৃশংস গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এখন সময়ের দাবি।’

সভাপতির বক্তব্যে প্রদীপ রঞ্জন কর বাংলাদেশে পাক বাহিনীর সেই নির্মম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

বলে রাখা ভাল, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে ৯ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক জেনোসাইড ও প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। তবে, এই রেজুলেশনে বাংলাদেশ এখনো অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি। মেলেনি গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলাদেশ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। জেনোসাইড ’৭১ ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্র’ দীর্ঘ দিন ধরে এ দাবি আদায়ে বিভিন্ন কর্মসুচি পালন করছে।