জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ২৫ ডিস্ট্রিক্টের কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান তার পুন:নির্বাচনী জনসংযোগের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২ জুন) জ্যাকসন হাইটসের রুজভেল্ট এভিনিউস্থ জ্যাকসন হাইটস্ ইসলামীক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন। জুম্মার নামাজের খুতবার আগে মসজিদে উপস্থিত হলে তাকে স্বাগত জানান ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক আবু জাফর মাহমুদ।
শেখর কৃষ্ণান জ্যাকসন হাইটসের ইসলামীক সেন্টারের ইমাম মাওলানা আব্দুস সাদিকসহ উপস্থিত মুসুল্লিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মত বিনিময় করেন।
তিনি বলেন, ‘জ্যাকসন হাইটস, উডসাইট ও এল্মহার্স্টের মুসলিম বাঙালি কমিউনিটি আমার নিজস্ব কমিউনিটি। এ কমিউনিটির সব ভাল-মন্দের জন্য আমি ও আমার অফিস সদা প্রস্তুত। বাংলাদেশিদের সেবার জন্যই আমার অফিসের সহকারি হিসেবে বাঙালি কর্মকর্তা রয়েছেন। তিনি সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে।’
আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘শেখর কৃষ্ণান তার নির্বাচনী এলাকার বাংলাদেশিরে প্রতিটি দাবি ও প্রত্যাশাকে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করে আসছেন। জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ স্ট্রিট তারই কর্মতৎপরতার ফসল। এবার রমজানে তিনি ইন্টারফেইথ ইফতার আয়োজন করে সব ধর্মীয় কমিউনিটির ব্যক্তিদেরকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছেন। এটি অনেক বড় দৃষ্টান্ত।’
শেখর কৃষ্ণান বলেন, ‘এটি আমার জন্যও গর্বের যে, আমি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য সিটি কাউন্সিলে আমার কন্ঠস্বর উচ্চকিত করতে পেরেছি। ৭৩ স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট হিসেবে পুণ:নামকরণ করতে পেরে আমি নিজেও ধন্য হয়েছি। এখন এটি আমাদের পুরো কমিউনিটির জন্য একটি মাইলফলক হয়েছে। আমি এ পর্যন্ত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য যা কিছু করতে পেরেছি, তার পেছনে এ কমিউনিটির নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের অনেক বড় অবদান রয়েছে। এখানকার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, ট্যাক্সিচালকসহ সব পেশাজীবীর নিজস্ব প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য আমাদের প্রচেষ্টার কোন কমতি নেই। বিশেষ করে বাংলা ভাষায় তাদের বিষয়গুলো বুঝে যাতে সেবা দেয়া যায়, সে বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি পুন:নির্বাচনী প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। ২৭ জুন পূণ:নির্বাচন। আমি প্রত্যাশা করি আপনাদের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা আমার জন্য থাকবে।’
বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষে আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘কিছু কিছু স্কুলে হালাল খাবার দেয়া হলেও সব স্কুলে এ ব্যবস্থাটি এখনো চালু হয়নি। সে সব স্কুলে আমাদের আমাদের সন্তানদের উপবাস কাটাতে হয়।’
এ ব্যাপারে তিনি শেখর কৃষ্ণানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ বিষয়ে শেখর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বান দেন।
আবু জাফর বলেন, ‘সিটি কাউন্সিলে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার জন্য আমার মূখ্য ভূমিকা থাকবে।’
একইসাথে আবু জাফর মাহমুদ বিভিন্ন ধর্মীয় দিবস ছুটি ঘোষণার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
জ্যাকসন হাইটস ইসলামীক সেন্টার থেকে প্রকাশ্যে মাইকে আজান দেয়া ও প্রতি শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুম্মার আগেই ছুটি ঘোষণা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান মাওলানা আব্দুস সাদিক।