শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

টিকটক নিষিদ্ধ হল যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে

বুধবার, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: চীনের জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটক যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) হাউসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্পিন্ডর সব আইনপ্রণেতা ও কর্মীদের কাছে পাঠানো বার্তায় বলেছেন, ‘বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সমস্যার কারণে অ্যাপটিকে উচ্চঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ সেই সাথে হাউসে পরিচালিত সব ডিভাইস থেকে মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। খবর রয়টার্সের।

হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘নির্বাহী শাখার ডিভাইসগুলোতে টিকটককে নিষিদ্ধের বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য হাউস, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিটির সাথে কাজ করেছে। কর্মীদের কাছে যে বার্তা দেয়া হয়েছে, তাতে ডিভাইসে টিকটক ভবিষ্যতে ডাউনলোড নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’ 
 
চীন সরকার মার্কিনিদের ওপর গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাতে অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে- এমন উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি রাজ্য অন্তত রাষ্ট্র-পরিচালিত ডিভাইস থেকে অ্যাপটিকে আংশিকভাবে ব্লক করেছে। প্রতিরক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি ব্যয় নির্বাহে এক দশমিক দশ ট্রিলিয়ন ডলারের বিল পাস করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট। সেই বিলে ফেডারেলভাবে পরিচালিত ডিভাইসগুলোতে অ্যাপটিকে নিষিদ্ধ করার বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করলে তা কার্যকর হবে।
 
এ দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা অ্যাপটির ওপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এ মাসের শুরুর দিকে টিকটকের মালিকানা কোম্পানি বাইড্যান্স একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালায়, তাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, চীনে তাদের চার কর্মী টিকটক অ্যাপ ব্যবহার করে বাজফেড , ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ও ফোর্বসের মত নামী মার্কিন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করেছেন। 
 
অভিযুক্ত কর্মীরা মার্কিন সাংবাদিকদের আইপি অ্যাডড্রেস জোগাড় করে তারা কোথায় যাচ্ছেন, আসছেন তা ট্র্যাক করত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর ওই চার কর্মীকে চাকরি থেকে দ্রুত বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর সংস্থাটি দাবি করে কোন মার্কিন ইউজারদের ডাটা তারা মজুত করে রাখে নি। কিন্তু তা কোনভাবেই মানতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র।
 
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। এ সময় যুক্তাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। টিকটক বন্ধের জন্যে ট্রাম্প একটি এগজিকিউটিভ অর্ডারেও সইও করেছিলেন। কিন্তু মার্কিন বিচারকরা সেটাকে বাতিল করে দেন।