শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে উপগ্রহের ইন্টারনেট সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের স্টারলিংকের ডিজিটাল উপস্থাপনা

শুক্রবার, জুলাই ২৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্ট ইলন মাস্কের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা স্পেসএক্সের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা সম্পর্কে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছে ডিজিটাল উপস্থাপনা পেশ করেছে। স্টার লিংকের দুই সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের কার্যালয়ে এ উপস্থাপনা দেন। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, বিটিআরসির কমিশনারবৃন্দ এবং মহাপরিচালকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা মুঠোফোন টাওয়ার ও সাবমেরিন কেবল নির্ভর হলেও স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়। স্টারলিংক এলে বিরূপ আবহাওয়ায় কতটা কাজ করবে, ডিভাইসগুলোর চুরি রোধ, সেবার বিনিময়ে ডলারের পেমেন্টের বিষয়গুলো কী হতে পারে- সেসব বিষয় উপস্থাপনায় উঠে আসে। পাশাপাশি, জননিরাপত্তার কারণে আইনি নজরদারির বিষয়েও আলোচনা হয়। ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছে কী যাচ্ছে, তাতে সরকারের নজর রাখার বিষয় ইত্যাদি উপস্থাপনাকালে উঠে আসে। দেশে ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে সংযোগগুলোর গেটওয়েতে সরকারের নজরদারি প্রযুক্তি বসানো থাকে। জাতীয় স্বার্থে সরকারের এ নজরদারির বিষয়, দেশের আইন ও উদ্দেশ্যেসহ বিভিন্ন বিষয় উপস্থাপনকালে উঠে আসে।

স্টারলিংককে বাংলাদেশে আসতে টেলিযোগাযোগখাতের নিয়ন্ত্রণকারি সংস্থা বিটিআরসির লাইসেন্স প্রয়োজন হবে। এ ক্ষেত্রে আইনি নজরদারিতে প্রযুক্তিগত ও নীতিগত বিষয় রয়েছে। এছাড়াও, যেসব অঞ্চলের জন্য এ সেবা সেখানকার মানুষের খরচ বহনের সক্ষমতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা, কমিউনিটি স্টান্ডার্ডসহ ইত্যাদি বিষয় জড়িত।

এছাড়াও, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট কোম্পানিরই সক্ষমতা আছে দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা দেয়ার। স্টারলিংক এলে কী উপকার হবে, স্টারলিংকের সেবা দেশের বিদ্যমান কাঠামোকে কতটা চ্যালেঞ্জ করবে- এগুলোও বিবেচ্য বিষয়। স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা হওয়ায় স্টারলিংক ব্যবহার করার জন্য অ্যান্টেনার প্রয়োজন হয়। যা অনেকটা ছোট আকারের ডিশের মত। এ অ্যান্টেনা দিয়ে ভবনের যে কোন প্রান্তে ইন্টারনেট সিগন্যাল পাওয়া যায়।