নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ভারী এমকে-৮৪ বোমার চালান পেয়েছে ইসরায়েল। এই বোমার রপ্তানির ওপর সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, তা তুলে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে এই চালান অনুমোদন করেছেন। সংবাদ রয়টার্সের।
ডেটোনা বিচে সংক্ষিপ্ত সফর শেষে রোববার ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ফিরে আসেন ট্রাম্প। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলে বোমা রপ্তানির ওপর বাইডেন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন তিনি, যদিও সেখানে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘তারা (ইসরায়েল) বহু আগেই বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে এই অস্ত্রের জন্য চুক্তি করেছিল। কিন্তু বাইডেন সেগুলো সরবরাহ করতে চাননি। আমি বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখি। আমি বলি, ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই অস্ত্রগুলো পড়ে ছিল। কেউ জানত না, এগুলো কী করা হবে। কিন্তু ইসরায়েল সেগুলো কিনেছিল।’
এমকে-৮৪ হলো একটি অগ্রপথনির্দেশিত ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা, যা মোটা কংক্রিট ও ধাতব কাঠামো ভেদ করতে সক্ষম। এটি বিশাল বিস্ফোরণ তৈরি করে।
বাইডেন প্রশাসন এই বোমার রপ্তানির অনুমতি দেয়নি। কারণ, এটি গাজা উপত্যকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের ছাড়পত্রে যে অস্ত্রের চালান আজ রাতে ইসরায়েলে এসেছে, তা বিমান বাহিনী এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী মৈত্রীর আরেকটি প্রমাণ।’
এই চালানটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ করছে। গাজায় জিম্মি বিনিময় ও বন্দি মুক্তির জন্য যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই ইসরায়েলকে বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে, যা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বেড়েছে।