রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

ডোনাল্ড লুর আসন্ন সফরে রোহিঙ্গা সংকট প্রাধান্য পাবে

বুধবার, মে ৮, ২০২৪

প্রিন্ট করুন
ডোনাল্ড লু

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন সফরে রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বুধবার (৮ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড লু মূলত রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করতে আসছেন।’

অন্যান্য ব্যাপারও অবশ্যই আলোচনায় আসবে বলে জানান হাছান মাহমুদ।

তবে, ডোনাল্ড লু কবে ঢাকায় আসছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্পষ্ট করেননি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এবং দুই দেশ এ সম্পর্কের আরো উন্নয়নে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব ও সম্পর্ক আরো গভীর হবে।’

গেল সপ্তাহে একটি কূটনৈতিক সূত্র ইঙ্গিত দিয়েছে যে, আগামী ১৪ মে দুই দিনের সফরে লু ঢাকায় আসতে পারেন। এ সফরে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুযোগের সৃষ্টি হবে।

একেটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে, এ সফরে ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় ব্যাপারে আলোচনা করতে পারেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

গেল ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর দেয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ব্যাপারে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নাগরিক সমাজকে সমর্থন এবং আমাদের জনগণের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

গেল ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের (এনএসসি) দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক এইলিন লুবাখার, ইউএসএআইডির ব্যুরো ফর এশিয়ার সহকারী কর্মকর্তা মাইকেল শিফার এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন।

সে সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের পর হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘দুই পক্ষেরই সদিচ্ছা আছে। আমরা একসাথে আমাদের সম্পর্কের নয়া অধ্যায়ের সূচনা করতে চাই।’

এইলিন লুবাখার সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের অভিন্ন অগ্রাধিকার ও ভবিষ্যতে আমাদের একসাথে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’