শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

ডোনাল ট্রাম্পকে হাতকড়া পরানো হবে না

শনিবার, এপ্রিল ১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন
ডোনাল্ড ট্রাম্প

ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র: ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত আসামিদের সাধারণত সাময়িকভাবে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাতকড়া পরানো হবে না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। খবর বিবিসির।

ট্রাম্পের আইনজীবী জো টাকোপিনা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত (প্রসিকিউটরেরা) এ ঘটনা থেকে সর্বোচ্চ প্রচারণা পেতে চাইবেন। কিন্তু, ট্রাম্পের হাতে হাতকড়া পরানো হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি জানি, তারা আদালতের আশেপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেবে, পুরো আদালত এলাকায় সবকিছু থামিয়ে দেবে।’

পর্ন তারকাকে ঘুষ দেয়ার মামলায় বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) নিউইয়র্কের আদালতে সাবেক ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনেন গ্র্যান্ড জুরির বিচারকরা। ফ্লোরিডায় বসবাসরত ট্রাম্প সোমবার (৩ এপ্রিল) নিউইয়র্কে পৌঁছে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুর নাগাদ আদালতে হাজিরা দেবেন বলে জানানো হয়। এ দিন আদালত প্রাঙ্গণে তার নিরাপত্তায় থাকবে সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা।

এ দিকে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার সমর্থকরা। শুক্রবার (৩১ মার্চ) মারে-লাগো রিসোর্টের সামনে ট্রাম্পের সমর্থনে জড়ো হন কিছু সমর্থক। তাদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এ মামলা নিছক ভণ্ডামি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতেই এমনটা করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

এ অভিযোগকে রাজনৈতিক নিপীড়ন বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, ‘এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নিপীড়ন ও নির্বাচনী হস্তক্ষেপ।’

ডোনাল ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি ট্রাম্প টাওয়ার ছেড়ে নিচে নেমে এসেছি ও আপনাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছিলাম। তবে, তার আগে থেকেই উগ্র বাম ডেমোক্র্যাটরা এ দেশের কঠোর পরিশ্রমী নারী-পুরুষর শত্রু ছিল। তারা ‘‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’’ আন্দোলনকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।’

অন্য দিকে, ট্রাম্পের এ ঘটনায় উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি পৃথিবীর শক্তিশালী যুক্তরাষ্ট্রকে দ্বিধাবিভক্ত করতে পারে বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের খবর প্রকাশ না করতে ২০১৬ সালে মোটা অঙ্কের ঘুষ দেয়া হয় বলে দাবি করেন সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলস। এরই জেরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে ফৌজদারি মামলা করা হয়। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বার ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলেন কোন সাবেক প্রেসিডেন্ট।