ঢাকা: মানুষের সুন্দর অভ্যাসগুলোর মধ্যে পাঠ্যাভাস অন্যতম। মানুষ বই পাঠের মাধ্যমে সত্যকে উপলব্ধি করতে পারে। যুগে যুগে বই এনেছে ত্যাগের দীক্ষা, সত্য ও সুন্দরের সাধনা। আর এই সুন্দরকে প্রতিনিয়ত ধারণ করে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন কবি গোলাম মাওলা জসিম। যেখানেই দেখেন, বই রাখার সুযোগ রয়েছে, সেখানেই তিনি পাঠকদের জন্য বই উপহার দেন। আর এই প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ নামের সৃজনশীল উদ্যোগ। প্রতিনিয়ত দেশের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে সেলুনে সেলুনে বিতরণ করছেন বুক ও সেলফ। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার ফার্ম গেটের গ্রীন রোডের বি বাড়িয়া মুসার সেলুনে সুসজ্জিত বই সম্বলিত বুকসেলফ বিতরণ করা হয়েছে। এর উদ্বোধন করেন কবি কাজল নিশি।
বই ও তাক হস্তান্তরকালে বলেন, ‘আশা করি, এই কার্যক্রম সম্পৃক্ত থেকে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ হবে সবাই। এটি শুধুমাত্র একটি সেলুনে স্থান পায়নি, ঢাকাসহ সার দেশের দুই শতাধিকের বেশি সেলুনে শোভা পাচ্ছে জেনে খুবই ভাল লাগছে, সেখানে স্থান পেয়েছে জনপ্রিয় লেখকদের বই সম্বলিত দৃষ্টিনন্দন বুক ও সেলফ।’
মূলত সেলুনে সেবাগ্রহীতাদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অর্থায়নে এই কার্যক্রম চালাচ্ছেন গোলাম মাওলা জসিম। তিনি বলেন, ‘জ্ঞানের রহস্যময় ভান্ডার হল বই। বই মানুষের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। বই মানুষকে হাসাতে পারে, সব দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে। আপনি আপনার বন্ধুদের সব সময় পাশে নাও পেতে পারেন, কিন্তু বই নামের বন্ধুকে সব সময় পাশে পাবেন। বই মানুষকে হাসতে, জানতে, বুঝতে শেখায় ও মনের কুসংস্কার দূর করতে সাহায্য করে। আমি যেখানেই যাই, সাথে বুক ও সেলফ থাকে। আমি চেষ্টা করি, সময়গুলো কাজে লাগাতে।’
উল্লেখ্য, ‘অবসরে বই পড়ুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের নিজ এলাকা নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও তাক বিতরণের মাধ্যমে এ ব্যতিক্রমী কার্যক্রম শুরু হয়। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার সেলুনে দেয়া হচ্ছে বই ও তাক।