ফ্লোরিডা, যুক্তরাষ্ট্র: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে (ডিএনসিসি) অধুনিকায়নে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়র ড্যানিলিয়া লিভাইন কাভা। বিশেষ করে মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় মিয়ামি সব ধরনের সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের কমার্শিয়াল ল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএলডিপি) আমন্ত্রণে ও অর্থায়নে ডিএনসিসির দশ দিনের প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানান, নগর ব্যবস্থাপনায় মিয়ামির অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে ডিএনসিসি স্মার্ট সিটির ভিশনে পৌছাতে বেগ পেতে হবে না।
সিএলডিপির অধীনে ১৪ জানুয়ারি থেকে দশ দিনের প্রশিক্ষণে ক্রয় প্রক্রিয়া, হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়, হিসাবরক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা, কুইক রেসপন্স টিম, মশক নিধনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা নিয়েছে ডিএনসিসির প্রতিনিধি দল।
শেষ দিনে মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে উঠে আসে দশ দিনের অভিজ্ঞতা। আতিকুল ইসলাম লিভাইন কাভাকে জানান, এ সফর তাকে মিয়ামির বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি ডিএনসিসি একটি আধুনিক নগর গড়ে তুলতে মিয়ামি ডেড কাউন্টির সহায়তা চান তিনি।
এ সময় মিয়ামির মেয়র ঢাকাকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি পাঠিয়ে ঢাকাকে স্মার্ট সিটি রুপান্তরে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
ডিএনসিসির প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে খুশি মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়র ড্যানিলিয়া লিভাইন কাভা। তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যদি কোন সহযোগিতা চায়, আমরা তা দিতে প্রস্তুত।’
ড্যানিলিয়া লিভাইন কাভা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলকে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমি খুশি। আমি সত্যি ও গর্বিত। গত কয়েক দিনে আমাদের কিছু বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন। অলিখিতভাবে অনেকগুলো বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করতে পেরেছি। আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প রয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে দেখানো হয়েছে। ডিএনসিসিকে যে কোন ধরনের সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
এ সময় আতিকুল ইসলাম মিয়ামি ডেড কাউন্টির মেয়রকে ঢাকায় আমন্ত্রণ জানান। তিনি বলেন, ‘মিয়ামি ডেড কাউন্টির অভিজ্ঞতা ডিএনসিসিতে বাস্তবায়ন করতে চাই।’
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘ঢাকা থেকে ফ্লোরিডার দূরত্বটা হাজার হাজার মাইল। তবে তাপমাত্রা বৃষ্টিপাত প্রায় একই রকম হওয়ায় ঢাকার এবং ফ্লোরিডার মিয়ামির আবহাওয়ার খুব একটা পার্থক্য নেই। ফলে মিয়ামির ভাল উদ্যোগ যেগুলো আমরা দেখলাম, সেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারলে সত্যিকার অর্থে স্মার্ট নগর গড়ে তোলা সম্ভব।’
প্রশিক্ষণ শেষে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কাউন্সিলারদের সার্টিফিকেট তুলে দেন মিয়ামি ডেড কাউন্টির ডেপুটি মেয়র জিমি মোরালেস ও মো. আতিকুল ইসলাম।