/ 
প্রিন্ট করুন
খুলনা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের চিহ্নও থাকবে না। এমনকি তারা দশটি আসনও পাবে না।’ শনিবার (১১ জুন) খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশ ঘিরে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, গ্রেফতার ও বাড়িতে তল্লাশি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমাবেশে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি ঠেকাতে খুলনা অভিমুখী সব ধরনের গণপরিবহনও বন্ধ করে দেয়া হয়। বাধা উপেক্ষা করেই দলটির হাজারো নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দেন। যানবাহন না পেয়ে অনেকে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসেন।
চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের মত খুলনার সমাবেশের মঞ্চেও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্মানে একটি চেয়ার খালি রাখা হয়।
সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সব বাধা উপেক্ষা করে হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। খুলনাবাসী অসাধ্য সাধন করেছেন।’
শুধুমাত্র ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার দেশকে নরকে পরিণত করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খুলনাকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য জন্য আপনারা অসাধ্য সাধন করেছেন। আপনাদেরকে আমি স্যালুট জানাই।’
সমাবেশে আসা নেতা-কর্মীদের উপর হামলার বিষয়ে ফখরুল বলেন, ‘পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাজারের ওপর আহত হয়েছেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জনসমর্থন নেই বুঝতে পেরে সরকার তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু, জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবি উপেক্ষা করা যায় না।’
এ সময় সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি এ নির্বাচন কমিশনকে মেনে নেবেন?’ নেতা-কর্মীরা বলেন, ‘না, না।’
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার ইতোমধ্যে ব্যাপক ক্ষতি করে ফেলেছে। এখন সময়, সরকার উৎখাত করে দেশকে রক্ষা করার।’
অসুস্থ বোধ করায় এ পর্যায়ে তিনি বসে বক্তব্য দেয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের কাছে অনুমতি চান।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন। তবে, কেন সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ নিয়ে আশঙ্কা করছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণকে ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়।’
আন্দোলন করা ছাড়া এখন আর কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হবে। স্বেচ্ছায় ক্ষমতা না ছাড়লে গণঅভ্যুত্থান হবে। তখন পালানোর পথ পাবেন না।’
