রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

শিরোনাম

তামাক ক্ষতি ছাড়া জীবনে কোন অবদান রাখে না

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২৭, ২০২২

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: ‘তামাকের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য, অর্থ ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক ক্ষতি ছাড়া জীবনে কোন অবদান রাখে না। স্বাস্থ্যের গুরুত্ব সকলেই জানে। তাই তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ পরিহার করা অপরিহার্য। তামাক ব্যাবহারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি।’

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে ঢাকা আহছানিয়া মিশন কর্তৃক আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ব্যবস্থা শীর্ষক আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সময়ের সাথে সবকিছুই পরিবর্তন হয়। আইনও পরিবর্তন হতে পারে। প্রণীত খসড়াটি যেন দ্রুত আইনে রূপান্তরিত হয়, সে চেষ্টা করতে হবে। তামাকের জন্য যে কোটি কোটি টাকা আয় হচ্ছে বলা হয়, সেটা স্বাস্থ্য ক্ষতির তুলনায় কিছুই না। বলা হয় যে, তামাক বন্ধ হলে ৮০ লাখ লোক বেকার হয়ে যাবে, এটা সত্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ কাজ করছে। তামাক নিয়ন্ত্রণে জন্য গাইডলাইন করা হয়েছে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তামাকের চাষাবাদ ও তামাক পণ্য উৎপাদন কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস করে৷ তামাক প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিড়ি সিগারেটের ধোঁয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।’

বিশেষ অতিথি সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার আ ফ ম রুহুল হক উল্লেখ করেন, তামাকের কোন ভাল দিক নেই৷ তামাক নিয়ন্ত্রণ করলে দেশের স্বাস্থ্য খাত ভাল থাকবে।

সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী শ্রী বীরেন শিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত দেশ ও ২০৪০ সালে আমরা তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই৷ তামাক মুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলন মানুষকে অধিক সচেতন করছে।’

আইন সংশোধন হলে এ আন্দোলন আরো ফলপ্রসূ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

হোসেন আলী খন্দকার উল্লেখ করেন, মন্ত্রণালয়ের সাথে তামাক বাদে অন্য ফসল উৎপাদন কাজ করতে।

উন্মুক্ত আলোচনায় বিশিষ্টজনরা তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করেন৷ দ্রুত খসড়া আইন পাশ ও তামাক মুক্ত বাংলাদেশ আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। বক্তব্য রাখেন মো. সেলিম রেজা, আবদুস সালাম মিয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুবায়দুর রহমান, বাংলাদেশ রেল মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জালাল আহমেদ এবং দি ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম।