শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

তারেকের নয় বছর, জোবায়দার তিন বছরের কারাদন্ড

বুধবার, আগস্ট ২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নয় বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া, রায়ে তারেকের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। বুধবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দুদক আইনের ২৬ (২) ধারায় তারেক রহমানের তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। দুই ধারার সাজা এক সাথে চলবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন। দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে তারেক-জোবায়দার মামলার রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় ৫৬ জনের মধ্যে ৪২ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানায় তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা। এতে তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া, মামলায় তারেক রহমানের শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

এরপর ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। পরে, এ মামলা থেকে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেকের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আর জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে তারেক রহমানকে সহযোগিতার অভিযোগে ১০৯ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।