শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

তারেক-জোবাইদার জেল/ফরমায়েশি রায় জনগণ মানে না

বুধবার, আগস্ট ২, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায় ফরমায়েশি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, ‘আজ এ ফরমায়েশি রায় দেয়ার ঘটনা দেশকে গণতন্ত্রশূন্য করার ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ। এ রায় জনগণ মানে না। এসব করে বিএনপির চলমান আন্দোলন দমন করা যাবে না। হিংসার পথে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের মজলুম নেতা তারেক রহমানকে নতজানু করা যাবে না।’

বুধবার (২ আগস্ট) বিকালে গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন ফখরুল ইসলাম।

এ দিন, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে তারেকের নয় বছর ও জোবাইদার তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ রায় প্রদানের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে সাজা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী সরকারের ফরমায়েশি রায়ের আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। আজ ঢাকা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী জোবাইদা রহমানকে সাজা দেয়াটা আওয়ামী দুঃশাসনের কোন ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে কারো মনে হয়নি। বিচার বিভাগের দলীয়করণের এটা আর একটি নিকৃষ্ট নজির।’

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান ও তার স্ত্রীকে যে সাজা দেয়া হবে- এ নিয়ে কারো সংশয় ছিল না। রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে আওয়ামী সরকার তাদের কোন প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না। সরকারপ্রধান নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বি রাখতে চায়। সে জন্য আইন আদালত ও প্রশাসনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনৈতিক প্রধান প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন। আজ এ ফরমায়েসি রায় দেয়ার ঘটনা দেশকে গণতন্ত্র শূন্য করার ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ দলের লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র নব্য বাকশালী দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী রাখতে। তারেক রহমানকে মামলা থেকে খালাস দেয়ায় বিচারক মোতাহার আর দেশে থাকতে পারেননি। সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বিচার বিভাগে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জরুরি সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার নামে ১৫টি দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির মামলা করা হয়। কিন্তু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর প্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে অনুগত বিচারপতিদের দিয়ে সবগুলো মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেন শেখ হাসিনা। কোন মামলায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি। অথচ, তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের এ মামলা চলার মত কোন আইনগত ভিত্তি-উপাদান না থাকা সত্ত্বেও হিংসা চরিতার্থ করার আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিয়ে শেখ হাসিনা তার নীল নকশা কার্যকর করার জন্য চটজলদি জোড়াতালি দিয়ে প্রতিহিংসা পূরণের রায় বের করা হয়েছে।’