সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত বাংলাদেশিদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে নিহত আট বাংলাদেশির মৃতদে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) বিকাল তিনটা থেকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়।

ঢাকা জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট সায়েম ইমরান, ঢাকা মেডিকেল ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডাক্তার ফাহমিদা হক ও বিমানবন্দর থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

মৃত আটজন হলেন মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার সেনদিয়া গ্রামের সজল বৈরাগী (২২), একই থানার কদমবাড়ি গ্রামের মৃত পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস (১৮), সরমঙ্গল গ্রামের মামুন শেখ (২৪), কোদালিয়া গ্রামের কাজী সজীব (১৮), কেশরদিয়া গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে কায়সার খলিফা (৩৫), গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানার দাদন শেখের ছেলে রিফাত শেখ (২৪), একই থানার পদ্মপট্টি গ্রামের আবুল কাশেম শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২৫) ও পদ্মাপট্টি গ্রামের পান্নু শেখের ছেলে ইমরুল কায়েস আপন (২৩)।

বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরের দিকে আটটি মরদেহ বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকেই সেগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে উপস্থিত নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ফরেনসিকের চিকিৎসকের সামনে মৃতদেহের কফিন খুলে দেখা যায়, সেগুলো ময়নাতদন্ত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সেহেতু ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিমানবন্দর থানায় খুন ও মানবপাচারের মামলা হয়েছে। সাতজনের নাম ও অজ্ঞাত ১৫ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়। এর মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, দেশের বাইরে অথবা দেশে যারাই জড়িত, তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।’

এর পূর্বে, বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটযোগে এসব মৃতদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেগের মর্গে নিয়ে আসা হয়। বিকালে সেগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় বিমানবন্দর থানা পুলিশ।

এর পূর্বে, গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ রাতে জুয়ারা উপকূল থেকে ইউরোপে যাত্রাপথে ৫২ জন যাত্রী ও একজন চালকসহ নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে ডুবে গেলে ৪৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি ও পাকিস্তানের আট, সিরিয়ার পাঁচ, মিসরের চারজন। নিহত নয়জনের মধ্যে আটজন বাংলাদেশি ও অন্যজন পাকিস্তানের নাগরিক বলে শনাক্ত হয়েছেন।