আটলান্টিক সিটি, নিউ জার্সি: সোমবার (৬ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিসহ পার্শ্ববর্তী শহরগুলো তুষারঝড়ের কবলে পড়েছে। এর ফলে ব্যাহত হয় শহরগুলোর অধিবাসীদের মত প্রবাসীদেরও স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও। তীব্র তুষারপাতের সাথে বয়ে গেছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তুষারপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যোগাযোগ ও পরিবহনব্যবস্থা। তুষার ঝড়ের কারণে বিমানের অনেক উড়ান বাতিল করা হয়েছিল।
নিউজার্সির গর্ভনর ফিল মারফি তুষার ঝড়কে সামনে রেখে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। তুষার ঝড়কে সামনে রেখে আটলান্টিক সিটির নগর কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল। আটলান্টিক সিটির অধিবাসীদেরকে সিআরডিএর অধীনস্থ ওয়েব গ্যারেজে ফ্রি পার্কিংয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। এছাড়া জরুরী পরিসেবা ব্যতীত আটলান্টিক সিটি গভর্নমেন্ট ও আটলান্টিক কাউন্টি গভর্নমেন্টের অফিসগুলো বন্ধ ছিল। স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যা ছিল খুব কম। সিটির পাবলিক ওয়ার্কসের লোকজন রাস্তাঘাটের তুষার পরিস্কারে ব্যস্ত ছিলেন। টহল পুলিশ, দমকল বাহিনী আর রাস্তাগুলোতে বরফ গলিয়ে ফেলার লবন ছিটানোর গাড়ি ছাড়া তেমন কিছুই নজরে আসেনি দুর্যোগে আক্রান্ত জনপদে।
তুষারপাতের মধ্যে আটলান্টিক সিটিতে আগুন লাগার ঘটনাও ঘটে। আটলান্টিক সিটির মেয়র মার্টি স্মল শুরু থেকেই পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রেখেছিলেন এব পাবলিক ওয়ার্কসের লোকজনের কাজকর্ম নিবিড়ভাবে তদারক করেন।
তুষার ঝড়ের সময় আটলান্টিক সিটির প্রবাসীরা প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি। যারা ক্যাসিনোতে কাজ করেন, তাদেরকে কাজে যেতে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়েছিল।
তুষার ঝড়ের তীব্রতা কমে আসলে অনেক শিশু-কিশোর ‘স্নো বল’ খেলায় মেতে ওঠে। নারীদের কেউ কেউ আবার তুষারঝড়ে স্নাত হয়ে তুষার কণা গায়ে মেখে আনন্দ উচ্ছাসে মেতে ওঠেন।
তুষার ঝড় থামার পর বাড়ির চারপাশের স্তূপকৃত তুষার পরিষ্কারে শহরগুলোর প্রবাসীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন। নতুন বছর বরনের আনন্দের রেশ কাটতে না কাটতেই তুষারঝড় সবার মনে নিরানন্দ বয়ে আনে।