শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পের বলি পাচঁ শতাধিক; জরুরি অবস্থা জারি

সোমবার, ফেব্রুয়ারী ৬, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ইস্তানবুল, সিরিয়া: তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে ৫০০’রও বেশি লোকের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল সাত দশমিক আট ভাগ। এটি সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক নয় কিলোমিটার গভীরে। এ সময়ে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ধ্বংস্তুপের নীচের অনেক লোক চাপা পড়ে আছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। কতৃপক্ষ জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এসব তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।

ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে বহু সরকারি ভবন ধসে পড়েছে। ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়ে আছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ দিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়িপ এরদোয়ান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা ও তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

এ দিকে, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে ভূমিকম্পে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ‘ভূমিকম্পে দশটি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস।’

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়িফ এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আশা করি, আমরা একসাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতির মধ্য দিয়ে এ দুর্যোগ কাঠিয়ে উঠতে পারব।’

উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দেশটিতে ১৯৯৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়।