ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র: দায়িত্ব নেয়ার পর নিজের প্রথম সফরে দাবানলে পুড়ে যাওয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দাবানলে ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করতে সেখানে যান ট্রাম্প। চলতি মাসের শুরুতে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ভয়াবহ দাবানল আঘাত হানে। খবর বিবিসির।
এর আগে দাবানল নিয়ন্ত্রণে ট্রাম্পের অন্যতম সমালোচক ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় নিন্দা জানান ট্রাম্প।
রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও, লস অ্যাঞ্জেলেসের বিমানবন্দরে এয়ার ফোর্স ওয়ান অবতরণ করার পর ট্রাম্পকে স্বাগত জানান নিউসম।
এর আগে উত্তর ক্যারোলিনায় যান ট্রাম্প। যেখানে সেপ্টেম্বরে রাজ্যের পশ্চিম অংশে ভয়াবহ হারিকেন আঘাত হেনেছিল। সেই ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নতুন করে দাবানল শুরু হওয়ার পর ট্রাম্প সেখানে গেলেন। জানা গেছে, স্থানীয় কর্মকর্তারা এখনও শুষ্ক ও ঝোড়ো বাতাস নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যা আগুনকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
নিউসমের সাথে করমর্দনের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে গভর্নর আমার সাথে দেখা করেছেন।’
নিউসম যাকে ট্রাম্প ‘নিউজকাম’ নামে ডাকেন ট্রাম্প সফর করতে আসায় কৃতজ্ঞতা জানান। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমাদের আপনার সমর্থনের প্রয়োজন হবে, আমাদের আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হবে।’
নিউসম আরও বলেন, ‘কোভিডের সময় আপনি আমাদের পাশে ছিলেন, আমি তা ভুলিনি। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য একসাথে কাজ করতে পারব।’
এরপর ট্রাম্প তার স্ত্রী মেলানিয়াকে নিয়ে প্যাসিফিক প্যালিসেডস এলাকার ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শন করেন এবং তারপর স্থানীয় নেতাদের সাথে একটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন। যার মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাসও ছিলেন।
এ সময় তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি দেন যা রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণে জল সরবরাহ করবে।
এর আগে, ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ দাবানলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে লস অ্যাঞ্জেলেস। এতে প্রাণ যায় অন্তত ২৮ জনের। প্রায় ১৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ধ্বংস হয়।