/ 
প্রিন্ট করুন
সীতাকুণ্ড, চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ড ডায়াবেটিস অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে দুঃস্থ ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি, বিশিষ্ট ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাহরিয়ার আহমদ মিলন।
তিনি বলেন, ‘ডায়াবেটিস রোগ একটি নিরব ঘাতক ব্যাধি। এ রোগে রক্তে মাত্রাতিরিক্ত গ্লুকুজের আধিক্যের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনী ডিজিজ, চোখের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, নার্ভ ডেমেজ, পায়ের সমস্যাসহ নানা শারিরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। অবশেষে রোগী পঙ্গুত্ব ও মৃত্যুবরণ করে। এক কথায় ডায়াবেটিস সব রোগের মা।’
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ‘ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সীতাকুণ্ড ডায়াবেটিস অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল এ সভার আয়োজন করে। হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সাজেদুল ইসলাম নাহিমের সভাপতিত্বে ও ইলিয়াস হোসেন ইকবালের সঞ্চলনায় সীতাকুণ্ড পৌর সদরের উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনে সংগঠনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী। স্বাগত বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড হেল্থ এন্ড এডুকেশন ট্রাস্টের (সেট) নির্বাহী পরিচালক লায়ন মো. গিয়াস উদ্দিন। বক্তব্য দেন সীতাকুণ্ড ডায়াবেটিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ননী গোপাল দেবনাথ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. কামরুদ্দোজা, দপ্তর ও মিলনায়তন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধ মানিক লাল বড়ুয়া, নির্বাহী সদস্য লায়ন মো. বেলাল হোসেন, লায়ন মো. শাহজাহান, ট্রাস্টি সদস্য আখতার হোসেন মামুন, ডাক্তার মানিক লাল দাশগুপ্ত, সীতাকুণ্ড সমিতি-চট্টগ্রাম সহ-সভাপতি লায়ন কাজী আলী আকবর জাসেদ, প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক কামরুল ইসলাম দুলু, দিশারী যুব ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. সরোয়ার হোসাইন লাভলু, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক ও অভিনেতা মোহাম্মদ আলী, সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বাবুল চন্দ্র নাথ, ডাক্তার নুরুল হুদা, কাজী মো. আসিফ উদ্দিন প্রমুখ।
সভায় সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, সীতাকুণ্ড ডায়াবেটিস অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত রোগী দেখা হচ্ছে। সপ্তাহের শুক্রবার বন্ধ থাকবে হাসপাতাল। এ হাসপাতালে রোগীদের সিবিজি পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হচ্ছে। এ ছাড়া, ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়ার জন্য ফি মাত্র ১০০ টাকা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫০ টাকা মাত্র।
