মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শিরোনাম

দুই মাসেও হাতে আসেনি সব বই, বাজারে ছুটছেন অভিভাবকরা

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: নতুন বছরের দুই মাসেও এখনও সব বই পায়নি বেশ কয়েকটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। বইয়ের অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় চিন্তিত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। কাগজ সংকটের কারণে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বই ছাপানো যাচ্ছে না বলে দাবি মুদ্রণ সমিতির।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, ‘কিছু ছাপাখানা নোট-গাইড ছাপানোয় সময়মতো মিলছে না বই।’

ভর দুপুরে পঞ্চগড় বোদা উপজেলার ধনীপাড়া গাইঘাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাসের পরিবর্তে খেলায় মেতেছে শিক্ষার্থীরা। কোনো কোনো কক্ষে ক্লাস চললেও অনেকের হাতেই নেই বই।

শিক্ষকরা বলছেন, ‘অনেক ক্লাসে একটি বইও হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। শুধু আসা-যাওয়ায় সীমাবদ্ধ শ্রেণি কার্যক্রম।’

বই না পাওয়ায় ছন্দহীন শিক্ষক, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন। নতুন বই পেতে অপেক্ষার প্রহর যেন শেষই হচ্ছে না। বছরের শুরুটাই বই ছাড়া কেটে যাওয়ায় পড়াশোনায় মনযোগ দিতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।

এখনেও সন্তানের হাতে বই না পৌঁছানোয় কপালে চিন্তার ভাঁজ অভিভাবকদের। অনেকেই বাজার থেক কিনছেন বিনামূল্যের বই। দ্রুত বইয়ের ব্যবস্থা করার দাবি তাদের।

দুই মাসেও কেন বই পেল না শিক্ষার্থীরা? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে।

বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ জুনায়েদুল্লাহ আল মাহফুজের দাবি, বাজারে এনসিটিবির বেঁধে দেয়া মানের কাগজের সংকট থাকায় যথাসময়ে বই ছাপানো যাচ্ছে না। যেসব কাগজ আসছে সেগুলো দিয়ে ছাপার কাজ করছি।

তবে কাগজের সংকট নেই বলে দাবি করেছেন এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘যাতে কাগজের কৃত্রিম কোনো সংকট না হয়, আমরা ছাপাখানার সঙ্গে কাগজ আমদানিকারকদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলাম। মূলত ছাপাখানার মালিকরা আগের অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারছে না এবং চাইলেও নিম্নমানের কাগজ দিতে পারছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মনে কষ্ট নিয়ে হলেও তারা আমাদের কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। যার কারণে চুক্তি ভেঙে কিছু প্রেস পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ ফেলে নোট গাইড ছাপাচ্ছে। কিন্তু আমরা কোনোভাবেই ফেব্রুয়ারি পার করতে চাই না।’

বই পাওয়ার আগ পর্যন্ত পিডিএফ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার পরামর্শ এনসিটিবির চেয়ারম্যানের।