সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

‘দুর্নীতিবাজ ‘ডামি সরকার’ দিয়ে দেশ চলতে পারে না

বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন ‘দুর্নীতিবাজ ‘ডামি সরকার’ দিয়ে দেশ চলতে পারে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল পূর্বনির্ধারিত ছিল। একদলীয়, একতরফা ও ভোটারহীন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে মূলত জয় হয়েছে স্বতঃস্ফূর্ত ভোট বর্জনকারী গণতন্ত্রকামী বীর জনতার। আর কলঙ্কিত, অপদস্থমূলক ও লজ্জার পরাজয় ঘটেছে গণবিচ্ছিন্ন বেপরোয়া আওয়ামী লীগের। দিনটি অনন্তকাল কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই, এ দেশের জনগণ না খেয়ে মরে গেলেও তাদের কিছু আসে যায় না।’

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সিটির দোস্ত বিল্ডিং দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাহবুবের রহমান শামীম আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশের অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা ফের একদলীয় শাসন জোরদার করতে তৎপর রয়েছে। জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে তারা পুরো রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের পথও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে দেশকে তারা অকার্যকরী করে তুলছে। ডামি নির্বাচনের সংসদ দিয়ে সরকারের আয়ু বাড়ানো যাবে না। দেশের মানুষ এ দুঃশাসনকে কোনভাবেই আর বরদাস্ত করছে না। সকলকে বলব, আসুন সবাই একজোট হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করে জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করি।’

সভায় আবু সুফিয়ান বলেন, ‘৭ জানুয়ারি জনগণের প্রত্যাখাত নির্বাচন, সেই নির্বাচন করে তারা এখন আত্মঅহমিকা দেখাচ্ছে। তারা জোর করে তাদের দখলদারিত্ব ক্ষমতা মানুষের সামনে দেখাতে চাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে গনতন্ত্রকামী মানুষ জেগে উঠেছে সরকারের পতনের লক্ষ্যে। দেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ডামি সরকার ওয়ান ইলেভেনের ধারাবাহিকতা মাত্র। এর মাধ্যমে ফের একদলীয় রাষ্ট্র কায়েম করেছে আওয়ামী লীগ।’

সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, ‘গত ৭জানুয়ারির নির্বাচন ছিল ক্ষমতাসীন দলের সাজানো সম্পূর্ণ সাজানো নাটকের মত। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ জনগণের কোন আস্থা ও সম্পৃক্ততা ছিল না। জনগণ আওয়ামী লীগের ডামি নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা রাজপথে নেমেছি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, সেই আন্দোলনে আমরা রাজপথে ছিলাম, আমরা রাজপথে আছি ও আগামীতে আমরা রাজপথে থাকব, যত দিন জনগণের সত্যিকারের অধিকার আমরা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারি। এটাই বিএনপির প্রতিজ্ঞা।’

এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, এম মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, লায়ন নাজমুল মোস্তফা আমিন, মজিবুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, নূরুল ইসলাম সওদাগর, আমিনুর রহমান চৌধুরী, মো. রফিক, নবাব মিয়া, মো. ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান, নূরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, শফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন আব্দুল্লাহ্, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ লোকমান, সদস্য সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মাদু, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ ওসমান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আ ক ম, মোজাম্মেল হক, দোহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কামাল উদ্দীন, বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, একেএম জসীম উদ্দীন, আবদুল মাবুদ, আবুল হোসেন, আপেল উদ্দীন, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দীন সবুজ, জেলা জাসাসের আহ্বায়ক জসীম উদ্দীন চৌধুরী, সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন।