শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দেউলিয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র! অগ্রগতি নেই ঋণ গ্রহণ সীমা বাড়ানোর আলোচনায়, বাড়ছে শঙ্কা

রবিবার, মে ২১, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র: ক্রমেই বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা। দেশটির সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহণ সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে প্রথম দফা আলোচনা কোনো ফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। এবার হোয়াইট হাউস ও রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের ঋণ গ্রহণ সীমা বাড়ানোর বিষয়ে দ্বিতীয় দফা আলোচনাও কোন ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে। খবর রয়টার্সের খবর।

শুক্রবার (১৯ মে) হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা ও রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয়। তবে, কয়েক ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকটি কোন ধরনে ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে দেশটির অর্থ মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সতর্ক করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কোষাগারে আর মাত্র ১৫ দিনের সরকারি ব্যয় মেটানোর মতো অর্থ রয়েছে। সর্বোচ্চ ঋণগ্রহণ সীমা বাড়ানো না হলে আগামী ১ জুনের পর থেকে আর সরকারি ব্যয় পরিশোধের উপায় থাকবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ তথা অর্থ মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে, প্রয়োজনীয় অর্থাভাবে দেউলিয়া হতে পারে দেশটি।

এ দিকে, দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে হোয়াইট হাউস স্বীকার করেছে যে, রিপাবলিকানদের সাথে এখনো বেশ কয়েকটি বিষয়ে গুরুতর মতপার্থক্য রয়ে গেছে। এ মতপার্থক্য শিগগির কমবে এমন সম্ভাবনাও কম। কারণ, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে রিপাবলিকান পার্টিই সংখ্যাগরিষ্ঠ।

তবে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনো আশাবাদী যে, রিপাবলিকান পার্টির সাথে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর মাধ্যমে দেশকে দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে। এ ব্যাপাারে হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেয়া বাইডেন বলেছেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি যে, এখনো দেউলিয়াত্ব এড়ানো সম্ভব ও আমরা ভাল কিছুই করতে পারব।’

তবে, রিপাবলিকানদের অবস্থান হল- সরকার যদি তার ব্যয় না কমায়, তবে তারা কোনভাবেই ঋণ গ্রহণ সীমা বাড়াবে না।

এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে হিরোশিমায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এ ইস্যুতে দলগুলোর (ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টি) মধ্যে বাস্তব মতপার্থক্য অব্যাহত রয়েছে।’

আলোচনায় কোন অগ্রগতি হয়নি উল্লেখ করে রিপাবলিকান পার্টি কংগ্রেসম্যান গ্যারেট গ্রেভস সাংবাদিকদের বলেন, ‘তবে, আমরা একটি খুব, খুব স্পষ্ট আলোচনা করেছি। আমরা এখন কোথায় আছি, কোথায় আমাদের থাকা দরকার, সে বিষয়ে কথা বলছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘তবে, আমাদের মধ্যে আজ রাতেও কোন ঐক্যমত্য হয়নি।’

তিনি জানান পরবর্তী বৈঠকের তারিখ এখনো নির্ধারিত হয়নি।