সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দেশব্যাপী ১৫ দিনের ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’ শুরু

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ১৮, ২০২৩

প্রিন্ট করুন

ঢাকা: সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেছেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, ভাল কাহিনী ও চিত্রনাট্যের অভাব, প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা না পাওয়াসহ নানা কারণে চলচ্চিত্র শিল্প সংকটে পতিত হয়েছিল। তা ছাড়া, ২০০১-২০০৬ সাল মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মৌলবাদীদের আগ্রাসনে এ শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত চলচ্চিত্র বান্ধব বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্র শিল্পে সুদিন ফিরেছে।’

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ৬৪ জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী একযোগে ১৫ দিনব্যাপী (১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ) ‘তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কেএম খালিদ আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন এ শিল্পের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতি উপজেলায় যে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতেও থাকছে আধুনিক সিনেপ্লেক্স।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পের এমন একটি মাধ্যম, যেটি খুব দ্রুত মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। চলচ্চিত্র শিল্পের সংকট উত্তরণকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন এক অসাধারণ পদক্ষেপ।’

তিনি পক্ষকালব্যাপী এ উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহা পরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক হায়দার রিজভী ও শামীম আখতার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ।

বলে রাখা ভাল, তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদী চলচ্চিত্র ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কার প্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে সিলেকশন কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত মোট ৩৬টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। এর মধ্যে ২৩টি সমকালীন চলচ্চিত্র ও ১৩টি অন্যান্য ক্যাটাগরির চলচ্চিত্র রয়েছে।