শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

শিরোনাম

দেশে ফিরেই কারাগারে বিএনপি নেতা তুহিন, নিউইয়র্কে ক্ষোভ

বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: এক-এগারোর পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক সাংসদ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘ ১৭ বছর কাটিয়ে সম্প্রতি দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও জামিন পাননি।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকায় দুটি মামলায় জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এ খবরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

নিউ ইয়র্কে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘দেশে এখনো প্রশাসনের স্তরে স্তরে পূর্ববর্তী সরকারের প্রভাব রয়ে গেছে বলেই প্রকৌশলী তুহিনের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক থাকার কারণে প্রকৌশলী তুহিন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।’

বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদের দাবি, সেনাসমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়েরকৃত মামলাগুলোর অধিকাংশই ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তিনি বলেন, ‘তুহিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকালীন বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেছেন। এমনকি কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন।’

তুহিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় বোনের ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই। মঙ্গলবার প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এ এবং পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। দুটি মামলাতেই আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

দুদক সূত্র অনুযায়ী, ২০০৭ সালে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয় তুহিনের বিরুদ্ধে। কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে তাকে তিন ও পাঁচ বছর- মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়, তবে দুই দণ্ড একত্রে চলায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর সাজা ভোগ করতে হবে। একই বছর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড হয় তার।

মামলার রায় ঘোষণার সময় তুহিন দেশে ছিলেন না, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেও বিচারকরা তা গ্রহণ করেননি।

এদিকে, নিউইয়র্ক বিএনপির নেতাকর্মীরা তুহিনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে তাকে মুক্তি না দিলে প্রবাসেও আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’