শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

দৈনিক আমার দেশ খুলে দিয়ে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সাজা বাতিল করতে হবে

বুধবার, আগস্ট ২১, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

চট্টগ্রাম: দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা ছিল গণমানুষের কন্ঠস্বর উল্লেখ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রাক্তন সভাপতি শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘মাহমুদুর রহমানের সাহসী নেতৃত্বে পত্রিকাটি যখন জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে উঠে, তখন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তা বন্ধ করে দেয়। মাহমুদুর রহমানকে বার বার গ্রেফতার, রিমান্ড, হামলা, মামলা করে তার জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিল। মাহমুদুর রহমানের মত নির্ভিক সম্পাদক সমসাময়িককালে আর দেখা যায়নি। আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমান শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের নির্মম শিকার। তাকে খুন করার জন্যে বার বার হামলা করা হয়েছে। ১২৪টি মামলা দিয়ে আদালতে বারান্দায় ঘুরিয়েছে। তার স্ত্রীসহ তাকে বানোয়াট অভিযোগে সাত বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হওয়ার পরও মাহমুদুর রহমানও তার স্ত্রী প্রতিকার না পাওয়া দুঃখজনক। তাই, দ্রুত দৈনিক আমার দেশ খুলে দিয়ে মাহমুদুর রহমানের সাজা বাতিল করতে হবে।’

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক বন্ধ করে রাখা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রেস খুলে দেয়াসহ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সব সাজা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আমার দেশ পরিবার চট্টগ্রাম ও সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। আমার দেশের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, বিএফইউজের প্রাক্তন সভাপতি ও আমার দেশ পত্রিকার নগর সম্পাদক এম আবদুল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মানববন্ধনে শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ‘পতিত আওয়ামী সরকার ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা-মামলায় প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে জড়িয়েছিল। তাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফরমায়েসী রায়ে সাজা দিয়েছিল। তাই, দ্রুত তারেক রহমানের সাজা বাতিল করে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। পাশাপাশি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রীর বিরদ্ধে দেয়া ফরমায়েশী সাজা বাতিল ও পত্রিকার প্রেস খুলে দেয়াসহ পত্রিকা দ্রুত প্রকাশের সব অন্তরায় দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।’

মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ ন‌ওয়াজ, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব খুরশিদ জামিল চৌধুরী, প্রাক্তন জেলা পিপি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নসরুল কদির, সাংবাদিক ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, অ্যাবের সভাপতি সেলিম জানে আলম, সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রাক্তন যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য বদরুল খায়ের চৌধুরী, এম মন্জুর উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ড্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম সারোয়ার আলম, মহানগর জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আমার দেশ পরিবারের সদস্য সোহাগ কুমার বিশ্বাস, অ্যাবের নেতা আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, সাখাওয়াত হোসেন, নবাব খান, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, দৈনিক আমার দেশ পাঠক মেলার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সোহেল, সদস্য এন মো, রিমন, আবদুল্লাহ আল হাসান সোনামানিক।