মুফতি জাকারিয়া হারুন: মহররম আরবি বছরের প্রথম মাস। এটি সম্মানিত চার মাসের একটি। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আসমান-জমিন সৃষ্টিলগ্ন থেকে সময় তার মত করে চলছে। বছরে ১২ মাসের চারটি সম্মানিত মাস। ধারাবাহিকভাবে তিনটি জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। চতুর্থটি হল রজব।’ (বুখারি ৩১৯৭)
বহু আলেমের মতে, সম্মানিত চার মাসের মধ্যে মহররম শ্রেষ্ঠ। এ প্রসঙ্গে সাহাবি হজরত আবু জর (রা.) থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, নবীজিকে (সা.)জিজ্ঞেস করি, ‘হে আল্লাহর রসুল, কোন বাহন ভাল? রাতের কোন অংশ ও কোন মাস সর্বোত্তম?’ নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে বাহনের মূল্য বেশি, সেটি বেশি কল্যাণকর; আর রাতের সর্বোত্তম অংশ হল মধ্যভাগ; সর্বোত্তম মাস আল্লাহর মাস, যাকে তোমরা মহররম বলে ডাক।’ (আস-সুনানুল কুবরা ৪২১৬)
এখানে মহররম মাস শ্রেষ্ঠ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে, রমজানের পরে শ্রেষ্ঠ মাস। ওয়াহাব ইবনু জারির কুররা ইবনু খালিদের সূত্রে হাসান বসরি থেকে বর্ণনা করেন; তিনি বলেন, ‘আল্লাহ বছর শুরু করেন সম্মানিত মাস দ্বারা; বছর শেষ করেন সম্মানিত মাস দ্বারা। রমজানের পর মহররমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন মাস নেই।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ ৪৭)
এ মাসে রোজা রাখার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘রমজানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা মহররমের রোজা; আর ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ রাতের নামাজ।’ (মুসলিম ১১৬৩)
মহররম মাসে কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, দান-সদকা, দরুদ পড়া প্রভূতি বেশি বেশি করা উচিত। তবে মহররম মাসকে কেন্দ্র করে তাজিয়া মিছিল বের করা, মাতম-মর্সিয়া করা, শরীর রক্তাক্ত করা শরিয়ত সম্মত নয়।