শ্যারোলেট, নর্থ ক্যারোলাইনা, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যে বন্দুকধারীদের হামলায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তিন কর্মকর্তার প্রাণ গেছে। এতে আহত হয়েছে আরো পাঁচজন। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শ্যারোলেট শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
শ্যারোলেট-মেকলেনবার্গ পুলিশ বিভাগের (সিএমপিডি) প্রধান জনি জেনিংস সংবাদ সম্মেলনে জানান, বন্দুক হামলায় মৃত তিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের মার্শাল টাস্কফোর্সের সদস্য। বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের নিয়ে এ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
এ দিকে, স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুক হামলার ঘটনার পর সন্দেহভাজন একজন হামলাকারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগও এ ঘটনায় একজন ডেপুটি মার্শাল ও টাস্কফোর্সের দুইজন কর্মকর্তার নিহত হওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে।
সিএমপিডি জানিয়েছে, বন্দুক হামলায় আহত হয়েছে পাঁচজন। এদের একজনের অবস্থা আশংকাজনক।
পুলিশ কর্মকর্তা জনি জেনিংস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আগ্নেয়াস্ত্র রাখার কারণে দোষী সাব্যস্ত এক অপরাধীর কাছে ওয়ারেন্ট নিয়ে গিয়েছিলেন হামলায় নিহত এসব কর্মকর্তা। সন্দেহভাজন ব্যক্তি আশ্রয় নিয়েছেন- এমন সংবাদ পেয়ে তারা একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, বাড়িটিতে ঢোকার পর ওই ব্যক্তি তাদের নিশানা করে গুলি চালাতে শুরু করে। তারা গুলি চালালে বাড়ির উঠোনে সন্দেহভাজন ব্যক্তি নিহত হয়।’
টাস্কফোর্সের কর্মকর্তারা তখন বাড়ির ভেতর থেকে গুলি চালান। কিছুক্ষণ ধরে গুলি ও পাল্টা গুলি চলার পর স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকসের (সোয়াট) একটি দল সেখানে যায়। বাড়ির ভেতরে থাকা দুই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। হেফাজতে নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারী ও অপরজন ১৭ বছরের কিশোর।
জনি জেনিংস জানান, ওই ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত একজন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিশানা করে গুলি চালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এর্টনি জেনারেল ম্যারিক গারল্যান্ড বিবৃতিতে বলেছেন, ‘বিচার বিভাগ আমাদের নিজস্ব আইন প্রয়োগকারী সহকর্মীদের প্রাণহানিতে মর্মাহত।’
হোয়াইট থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ব্যাপারটি জানানো হয়েছে এবং তিনি এ ঘটনায় শোক এবং ওই সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।’