বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৭, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্ক বুধবার (২৬ মার্চ) যথাযথ মর্যাদায় ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস দিবস উদযাপন করেছে। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ৭১’-এর শহিদ, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বুদ্ধিজীবী ও ২০২৪ জুলাই-আগস্টের শহিদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে পাঠানো রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পড়া হয়।

অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং বীরাঙ্গনা, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সব স্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও আন্তরিকভাবে সচেষ্ট থাকতে হবে।’

নাজমুল হুদা বলেন, ‘২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় সংযোজন করেছে এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা মেরামত তথা সংস্কারের এক অনন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে।’

কনসাল জেনারেল স্বাধীনতার কাঙ্খিত লক্ষ্য তথা একটি গণতান্ত্রিক ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, ন্যয্যতাভিত্তিক, মানবিক ও আধুনিক দেশ গড়ার জন্য সকলকে সচেষ্ট থাকার অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি গতিশীল, আত্মপ্রত্যয়ী ও উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের নতুন প্রজন্ম যে স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা পৃথিবীতে অবস্থানকারী আমাদের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ভাই-বোনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি তাদের এ সমর্থন এবং সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করার অনুরোধ জানান।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে ৭১-এর সব শহিদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ২৪’-এর জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরো পড়ুন

ঢাকা: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের নামাজ পরবর্তী বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা হয়। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। পরবর্তী সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। দুই রাকাত ওয়াজির নামাজের পর খুতবা দেন ইমাম, এরপর হয় মোনাজাত। মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। মুসল্লিরা অনেকেই চোখের জলে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। প্রথম জামাত শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা গেছে। মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের সেলফিতে মেতে উঠতে দেখা যায়। সারাদেশে আজ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।