/ 
প্রিন্ট করুন
বিশেষ প্রতিনিধি: মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে থাকা নিউইয়র্কের বাসিন্দারা নিজেদের জীবনের ইচ্ছামতো অবসান ঘটানোর আইনি সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। সোমবার (৯ জুন) এ সংক্রান্ত একটি বিল নিউইয়র্ক রাজ্য আইনসভায় পাস হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি এখন গভর্ণর ক্যাথি হোকুলের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। গভর্ণরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি বিলটি পর্যালোচনা করবেন।
বিল অনুযায়ী, যেসব মানুষ অসাধ্য ও মরণব্যাধিতে আক্রান্ত এবং যাদের জীবনের সময় সীমা ছয় মাসের মধ্যে নির্ধারিত, তারা চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে ওষুধের মাধ্যমে নিজ ইচ্ছায় জীবন শেষ করার সুযোগ পাবেন। এজন্য রোগীকে লিখিতভাবে অনুরোধ করতে হবে এবং দুইজন চিকিৎসকের সম্মতি লাগবে।
গত সোমবার রাতে দীর্ঘ বিতর্কের পর রাজ্য সিনেট বিলটিতে চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। সমর্থকদের ভাষায়, এই আইন মানুষের জীবন দ্রুত শেষ করার জন্য নয়, বরং যন্ত্রণার অবসান ঘটানোর পথ।
বিলের প্রধান প্রস্তাবক, ডেমোক্র্যাট সিনেটর ব্র্যাড হোয়েলম্যান-সিগাল বলেন, ‘এটা মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করার জন্য নয়, বরং কষ্টের অবসানের জন্য।’
অন্যদিকে, বিরোধীরা বলছেন, রাজ্যের উচিত হবে শেষ জীবন পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা, আত্মহত্যার অনুমোদন নয়। রিপাবলিকান সিনেটর জর্জ বোরেলো বলেন, ‘আমরা কখনোই রাষ্ট্রীয় অনুমোদিত আত্মহত্যার পক্ষে হতে পারি না।’
এর আগে এপ্রিলের শেষের দিকে রাজ্যের অ্যাসেম্বলি বিলটি পাস করেছিল। বিলে বলা হয়েছে, মৃত্যুপথযাত্রী রোগীকে লিখিতভাবে ওষুধ চাওয়ার আবেদন করতে হবে এবং সেখানে দুজন সাক্ষীর স্বাক্ষর থাকতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় রোগীকে কেউ জোর করছে না। এরপর আবেদনটি রোগীর প্রধান চিকিৎসক ও একজন পরামর্শক চিকিৎসকের অনুমোদন নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ১০টি রাজ্য সহ ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘ডেথ উইথ ডিগনিটি’ আইনটি চালু আছে।
