বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

শিরোনাম

নিউইয়র্কের স্কুলে ধর্মবিদ্বেষ ঠেকানোর প্রস্তাব পাস

রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র: যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের পাবলিক স্কুলগুলোতে অবাধে ধর্ম পালনের সুযোগের পাশাপাশি ধর্মীয় বিদ্বেষ ঠেকাতে অঙ্গরাজ্যটির কাউন্সিলে বুধবার (১৩ নভেম্বর) একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ। অধিবেশনে উপস্থিত ৪৮ কাউন্সিলম্যানের সকলে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

ফলে, এখন ধর্মীয় কারণে কেউ কারো সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না। দুপুরে পরিবেশিত হবে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী খাদ্য; তাতে হালাল-হারাম নিয়ে শঙ্কা তৈরির সুযোগ বন্ধ হবে।

গেল বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করার পর নিউইয়র্কের পাবলিক স্কুলগুলোতে ধর্মবিদ্বেষী হামলা, গালিগালাজ পরিস্থিতির সংবাদ আসতে থাকে। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ আসছিল।

তাতে শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছিল। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি নেতৃত্বাধীন অলাভজনক সংগঠন ‘স্যাফেস্ট’সহ ৩৪টি সংগঠন সরব হয়। এর মধ্যেই শাহানা হানিফের দেওয়া প্রস্তাব পাস হল।

শাহানা বলেন, “সিটি কাউন্সিলে বিদ্বেষমূলক হামলা বন্ধ সম্পর্কিত টাস্কফোর্সের কো-চেয়ার হিসেবে আমি নিজেকে অত্যন্ত গর্বিত মনে করছি যে- এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের প্রতি সব সহকর্মীর অকুণ্ঠ সমর্থন পেলাম।’

‘এই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে শিক্ষা বিভাগ- সংশ্লিষ্ট সব ধর্মভিত্তিক সংগঠনের পরামর্শ অনুযায়ী সর্বজনীন কারিকুলাম তৈরি করতে পারবে এবং তা শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক-কর্মচারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।’

ধর্মীয় কারণে কেউ আর বিদ্বেষী আচরণের শিকার হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ রচনার ক্ষেত্রে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির বিকল্প নেই।’

‘বিশেষ করে বহুজাতিক এ সমাজে সব ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের মানুষেরা ভীতিহীনভাবে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে সক্ষম হলেই যুক্তরাষ্ট্রের বৈচিত্রময় জীবনধারা পুরো পৃথিবীকে আরো আকৃষ্ট করবে।’

আন্দোলনকারী সংগঠন ‘স্যাফেস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মাজেদা এ উদ্দিন বলেন, ‘এর পূর্বে আমাদের চেষ্টায় নিউইয়র্ক সিটির পাবলিক স্কুলগুলোতে ঈদের দুইদিন ছুটি ও হালাল খাদ্য পরিবেশনের বিধি হয়েছে।

‘এখন শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ধর্মীয় অবয়বে অবাধে শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে। স্কুলে তারা নামাজ আদায়েও বাধাগ্রস্ত হবে না।’