বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫

শিরোনাম

নিউইয়র্কে আবু জাফর, কাউন্সিলম্যান শেখর ও এলমার্স্ট হসপিটালের ইনক্লুসিভ ইফতার

বুধবার, মার্চ ২৬, ২০২৫

প্রিন্ট করুন

নিউইয়র্ক: রমজানের শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধকে সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে দিতে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ ইনক্লুসিভ ইফতার ২০২৫।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জ্যাকসন হাইটসের পিএস ৬৯ ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় এই ইফতার আয়োজন। আন্ত:ধর্মীয় এ ইফতার আয়োজনের মূল উদ্যােক্তা ছিলেন কুইন্স কাউন্টি কমিটির সদস্য আবু জাফর মাহমুদ, কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান ও এলমহার্স্ট হাসপাতাল।

আন্ত:ধর্মীয় এ ইফতার আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা স্প্যানিশ, আফ্রিকান, ভারতীয়, রোমানীয়সহ এথনিক কম্যুনিটির প্রগতিশীল ৬টি বিশাল সাংগঠনিক শক্তির প্রতিনিধি ও নেতৃবৃন্দ এবং ১৫ জন সিটি কাউন্সিল ও অ্যাসেম্বলি মেম্বার, এল জি বিডি কমিউনিটির প্রতিনিধিরাসহ প্রায় ২ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

এ ইফতার মাহফিলে সৌহার্দপূর্ণ দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী মূল প্রকাশশক্তি ছিল বাংলা সিডিপ্যাপের রোজাদার সদস্য ও স্পেনিশ সদস্যরা। বাংলা সিডিপ্যাপের রোজাদার কর্মী এ স্প্যানিশ কর্মীরা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী, এথনিক কমিউনিউটির মানুষদের সাথে ভাব বিনিময় করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রোজাদারদের জন্য দোয়া পড়ান ইমাম আব্দুস সাদেক।

এ সময় ইন্টারফেইথ ইফতার আয়োজনকে সব জাতিগোষ্ঠীর পারস্পরিক ভ্রাতৃত্বের এক অনুপম দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে আবু জাফর মাহমুদ বলেন, ‘এখানে রমজানের ইফতার অনুষ্ঠানে যে পারস্পরিক বন্ধন ও যোগাযোগ গড়ে উঠলো তা গোটা কমিউনিটির জন্য অনেক বড় অর্জন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজকে এই আর্ন্ত:ধর্মীয় এই ইফতার আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্ম ও জাতি গোষ্ঠী আমাদের শক্তি ও একাত্মতা দেখেছে। একই সাথে তাদের সাথে যে বাংলাদেশিদের মেলবন্ধন তাও প্রকাশ্যে এসেছে।’

শেখর কৃষ্ণান বলেন, ‘এই ইনক্লুসিভ ইফতার আসলে জ্যাকসন হাইটস ও এলমার্স্টতে বসবাসরত বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে বন্ধন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের প্রতিফলন ঘটায়। এটি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম এলাকা যেখানে এক সাথে বহু জাতিগোষ্ঠী ও সত্তা বছরের পর বছর বসবাস করছে।’

ইফতার অনুষ্ঠানে মুসলীম ধর্মাবলম্বীকে রমজানে জন্য শুভ কামনা জানান নিউইয়র্ক স্টেটের অ্যাসেম্বলি ওমেন জেসিকা গঞ্জালেস রোজাস।

আরো পড়ুন

ঢাকা: যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের নামাজ পরবর্তী বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনে নির্যাতিত মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত প্রার্থনা করা হয়। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত শুরু হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ শেষ হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। পরবর্তী সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে আরও চারটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান। দুই রাকাত ওয়াজির নামাজের পর খুতবা দেন ইমাম, এরপর হয় মোনাজাত। মোনাজাতে গুনাহ মাফের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। মুসল্লিরা অনেকেই চোখের জলে আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করেন। মোনাজাতে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। বর্তমান সরকারের জন্য দোয়া করা হয়। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা। প্রথম জামাত শেষে মুসল্লিদের একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা গেছে। মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের সেলফিতে মেতে উঠতে দেখা যায়। সারাদেশে আজ মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।